সিওল: দক্ষিণ কোরিয়ায় (South Korea) কুকুরের মাংস খাওয়ার প্রথা অনেকদিনের। এ সংক্রান্ত ব্যবসাপাতিরও ভালোই রমরমা। কিন্তু এই সমস্তই বন্ধ হতে চলেছে। শোনা যাচ্ছে, দঃ কোরিয়ার মানুষ কুকুরের মাংস খাওয়ার বিরোধী হয়ে উঠেছেন। ক্রমাগত প্রতিবাদ করে চলেছেন পশু সুরক্ষা সমাজকর্মীরাও। তাঁদের সম্মিলিত চাপে সে দেশের সরকার সারমেয় ভক্ষণ নিষিদ্ধ করতে চলেছেন।
দেশের শাসকদল পিপল পাওয়ার পার্টির নীতি নির্ধারক কমিটির প্রধান ইউ এউই-ডং বলেছেন, “কুকুরের মাংস খাওয়া বিয়ে সামাজিক দ্বন্দ্ব এবং বিতর্ক কাটানোর সময় এসেছে, এবার এই প্রথা তুলে দেওয়ার আইন প্রণয়ন করা হবে।” শাসক দল এবং দঃ কোরিয়ার সরকার জানিয়েছে, তারা সংসদে কুকুরের মাংস খাওয়া নিষিদ্ধ করতে বিল আনবে এবং আশা করছে যে বিরোধী পক্ষ তাতে সমর্থন করবে।
আরও পড়ুন: ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতি, ৫০ বন্দির মুক্তি-চুক্তি
দেশের কৃষিমন্ত্রী (Agriculture Minister) চুং হোয়াং-কিন আশ্বাস দিয়েছেন, যত দ্রুত সম্ভব নিষিদ্ধ করা হবে এই জঘন্য প্রথা। যারা এই সংক্রান্ত ব্যবসা-শিল্পে কর্মরত, তাঁদের ব্যবসা বন্ধ করে নতুন পেশায় যাওয়ার জন্য সরকারি সহায়তা প্রদান করা হবে।
South Korea Plans To BAN Eating Dogs By 2027: Animal Groups Praise ‘Historic Announcement’ As ‘A Dream Come True’.
South Korea aims to ban eating dog meat and put an end to the controversy over the ancient custom amid growing awareness of animal rights.https://t.co/fPOQXvnmdF pic.twitter.com/Tp4mxq4scO
— Protect All Wildlife (@ProtectWldlife) November 20, 2023
দঃ কোরিয়ার কুকুরের মাংস খাওয়ার প্রথা বহু পুরনো। কিন্তু নতুন প্রজন্ম একেবারেই এই প্রথার বিরোধী। প্রেসিডেন্ট (President) ইয়ুং সুক ইয়োল এবং ফার্স্ট লেডি (First Lady) কিম কিয়োন হি বরাবর এই প্রথার বিরোধী। তাঁরা কুকুরপ্রেমী হিসেবে পরিচিত, বেশ কিছু পথকুকুরকে আশ্রয় দিয়েছেন।
নতুন প্রজন্ম সারমেয় ভক্ষণের বিরোধী হলেও প্রবীণ ব্যক্তিরা এবং আঞ্চলিক মানুষজন এই পুরনো প্রথার অনুরাগী। সরকার তা নিষিদ্ধ করলে তাঁদের খাদ্যাভাসে প্রভাব পড়বে। অন্যদিকে কুকুরের মাংসের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত লোকজনের ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার মুখে পড়তে পারে। পশুপালক এবং রেস্তোরাঁর মালিকদের বিরোধিতায় এর আগে একবার নিষিদ্ধ করার পদক্ষেপ বানচাল হয়ে যায়।