ওয়েব ডেস্ক: মহম্মদ ইউনুসের (Md Yunus) অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে ফের শাস্তির খাঁড়া শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) বিরুদ্ধে। বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত জুলাই মাসে ছাত্র বিক্ষোভ (Agitation) দমাতে পরিকল্পিত গণহত্যা ঘটিয়েছেন। এমনই তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়া হল বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে। তাতে দাবি করা হয়েছে, হাসিনা বিক্ষোভে সরাসরি অর্ডার দিয়েছিলেন। নিরাপত্তা বাহিনী, তাঁদর দল ও নির্দিষ্ট কিছু গোষ্ঠীকে অর্ডার দিয়েছিলেন যাতে অভিযান চালানো হয়। যার জেরে গণহত্যা হয়। শুরু হল বিচার প্রক্রিয়া। গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে হাসিনার নামে। বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে আগামী ১৬ জুনের মধ্যে আদালতে হাজির করাতে বলা হয়েছে। বাংলাদেশের আদালতে হাসিনার নামে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের হয়েছে। একইসঙ্গে প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের বিরুদ্ধেও ওই মামলায় অভিযোগ আনা হয়েছে। এদিনের শুনানি টেলিভিশনে দেখানো হয়। ইউনুসের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে অসন্তোষ বাড়ছে। সেনা প্রধান ওয়াকার উজ জামান, বিএনপি নেতারা একের পর এক হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। সেই প্রেক্ষিতে হাসিনার বিরুদ্ধে এই জোরালো পদক্ষেপ।
বাংলাদেশের মুখ্য সরকারি আইনজীবী তাজুল ইসলাম বলেন, হত্যাগুলি পরিকল্পিত ছিল। এটা সিস্টেম্যাটিক অ্যাটাক ছিল। মামলায় ৮১ জনের সাক্ষী নেওয়া হয়েছে। হাসিনা নিরাপত্তা বাহিনীকে সরাসরি অর্ডার দিয়েছিলেন। সরকারের প্রধান হিসেবে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানের পূর্ণ দায়িত্ব তাঁর।
আরও পড়ুন: কয়েকঘণ্টার ব্যবধানে ফের ট্রেন দুর্ঘটনা রাশিয়ায়
উল্লেখ্য, গত জুলাই মাস থেকে বাংলাদেশে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন শুরু হয়। কোটা সংস্কারের দাবিতে উত্তাল হয়। তা পরে হাসিনা বিরোধী আন্দোলনে রূপ নেয়। ছাত্রদের সামনে রাখা সেই আন্দোলনে যোগ দেয় জামায়াতে ইসলামির মতো কট্টরপন্থী সহ হাসিনা বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিও। গত ৫ অগাস্ট বিক্ষোভের জেরে বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে আসেন হাসিনা। তারপর থেকে তিনি ভারতের আশ্রয়েই রয়েছেন। সেখানে গঠিত হয় মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। সেই সরকারের আমলে হাসিনার নামে একের পর এক অভিযোগ দায়ের হয়েছে। হাসিনার দল আওয়ামি লিগের নেতা-কর্মীদের নামেও একের পর এক মামলা হয়েছে। সম্প্রতি একটি ঘটনা সামনে এসেছে। দেখা গিয়েছে ময়মনসিংহে এক ব্যক্তিকে খুনের অভিযোগে মামলা হয়েছিল হাসিনার নামে। অথচ সেই ব্যক্তি দিব্যি বেঁচে রয়েছেন।
দেখুন অন্য খবর: