ওয়েব ডেস্ক: গতবছর আগস্টে দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন বাংলাদেশের (Bangladesh) তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। আর এবছর জুলাইয়ে তাঁকে কারাদণ্ডের (Imprisonment Sentence) সাজা শোনাল আদালত। দীর্ঘ জল্পনার পর ইউনুসের (Mohammed Yunus) বাংলাদেশে শেষমেশ শাস্তি পাচ্ছেন শেখ মুজিব কন্যা। জানা গিয়েছে, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে ঢাকার একটি ট্রাইব্যুনাল। অভিযোগ, তিনি পুলিশ ও তদন্তকারী সংস্থার কর্মীদের হুমকি দিয়েছেন।
একটি ফাঁস হওয়া ফোনালাপ থেকেই এই মামলার সূত্রপাত। সেই ফোন কলে এক নারীকণ্ঠকে বলতে শোনা যায়— “আমার নামে আড়াইশো খুনের মামলা হয়েছে, মানে আড়াইশো খুনের পারমিশন পেয়ে গিয়েছি।” একইসঙ্গে আওয়ামি লিগের নেতা-কর্মীদের উপর ‘অত্যাচার চালানো পুলিশদের ব্যবস্থা নেওয়া হবে’ বলতেও শোনা যায় ওই কণ্ঠে। এবার আদালতের পর্যবেক্ষণে স্পষ্ট করা হয়েছে, অডিওটি এআই-এর মাধ্যমে তৈরি নয় এবং সেখানে শোনা যাওয়া কণ্ঠটি শেখ হাসিনার।
আরও পড়ুন: হরমুজ প্রণালীতে ‘মাইন’ বসাচ্ছে ইরান! কী বলল আমেরিকা?
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এরপর কি বাংলাদেশে ফেরানো হবে হাসিনাকে? এক্ষেত্রে ভারত-বাংলাদেশ প্রত্যর্পণ চুক্তি, ২০১৩-র কথা জানা দরকার। এই দ্বিপাক্ষিক চুক্তি অনুযায়ী, পলাতক অপরাধীদের বিচার নিশ্চিত করতে দুই দেশ একে অপরকে সহযোগিতা করতে বাধ্য। তবে রাজনৈতিক আশ্রয়প্রাপ্তদের ক্ষেত্রে বিশেষ ব্যতিক্রম রয়েছে। ফলে শেখ হাসিনাকে ভারতের পক্ষ থেকে বাংলাদেশে প্রত্যর্পণের সম্ভাবনা আপাতত কম।
এদিকে আদালতের এই রায়কে কেন্দ্র করে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে— বাংলাদেশে বিচারব্যবস্থা কি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার হাতিয়ার হয়ে উঠেছে? অনেকের মতে, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পরে শেখ হাসিনার দেশত্যাগ এবং ভারতের রাজধানী দিল্লিতে রাজনৈতিক আশ্রয় গ্রহণ ছিল সেই উত্তাল সময়েরই পরিণতি। এরপর থেকে দেশের রাজনীতিতে ‘বদলার রাজনীতি’র অভিযোগ উঠেছে বারবার।
দেখুন আরও খবর: