ওয়েবডেস্ক: রাশিয়া (Russia) ইদানীং কালে সবচেয়ে বড় হামলা (Attack) চালাল ইউক্রেনে (Ukraine)। শয়ে শয়ে ড্রোন (Drone), মিসাইল (Missile) দিয়ে হামলা চালাল মস্কো। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৪ জনের মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। তার মধ্যে তিন শিশুও রয়েছে। ২৭টি বিল্ডিংয়ে আগুন ধরেছে। আহত হয়েছেন ৮০ জন। ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে প্রচুর। গত ৪৮ ঘণ্টায় এই নিয়ে দ্বিতীয়বার এই ধরনের হামলা হল।
আমেরিকা হাত তুলে নেওয়ায় পরিষ্কার হতে শুরু করেছে ইউক্রেনের কোণঠাসা দশা। ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনে অভিযান শুরু করে। ন্যাটো ভুক্ত দেশগুলির সমর্থনে রাশিয়ার সঙ্গে লড়াই করে যাচ্ছিল তুলনায় সামরিক দিক থেকে দুর্বল দেশ ইউক্রেন। ইউক্রেন বড় সমর্থন পেয়েছিল জো বাইডেনের আমেরিকা থেকে। ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর থেকে তিনি হাত তুলে নেন। ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে শান্তি আলোচনা, যুদ্ধ বিরতি নিয়ে কথা এগিয়েছিল। কিন্তু সেসব কোথায়? শনিবার রাতে এই হামলার পরে সেই প্রশ্ন উঠছে। একসঙ্গে ৩৬৭টি ড্রোন ও মুহুর্মুহ মিসাইল দিয়ে হামলা চালানো হয়। এখনও পর্যন্ত আকাশ পথে সবচেয়ে বড় হামলা বলা হচ্ছে একে।
আরও পড়ুন: আমেরিকার একচ্ছত্র আধিপত্য আর নেই, স্বীকার ভান্সের!
এই ঘটনায় টেলিগ্রামে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লদিমির জেলেনস্কি হতাশা প্রকাশ করেছেন। তিনি বিশ্বের কাছে রাশিয়ার উপর চাপ সৃষ্টি করবার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। যাতে পুতিন যুদ্ধবিরতিতে যান। জেলেনস্কি লিখেছেন, আমেরিকা ও বিশ্বের অন্যদের নীরবতা পুতিনকে আরও উৎসাহ দেবে। ইউক্রেনের বায়ুসেনার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রাশিয়ার পক্ষ থেকে ২৯৮টি ড্রোন ছোড়া হয়। তার মধ্যে ২৬৬টি ড্রোন তারা নামাতে পেরেছে। ৬৯টি মিসাইল ছোড়া হয়। তার মধ্যে ৪৫টি মিসাইল তারা নিষ্ক্রিয় করতে পেরেছে। খারকিভ, মারকোলাইভ, টেরনোপিল এমনকী কিভেও হামলা হয়েছে। রবিবার সকালেও রাশিয়া ড্রোন হামলা চালিয়েছে।
দেখুন অন্য খবর: