কিভ: রাশিয়ার বিরুদ্ধে ফের একবার যুদ্ধবিরতি (Ceasefire) লঙ্ঘনের অভিযোগ তুললেন ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী। যুযুধান দু’দেশের সম্মতিক্রমে মঙ্গলবার ইউক্রেনের নির্দিষ্ট কয়েক’টি শহরে চতুর্থ দিনের মতো সাময়িক যুদ্ধবিরতি চলছিল। ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর অভিযোগ, যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা সত্ত্বেও বন্দর শহর মারিউপোলের (Mariupol) ‘হিউম্যানিটরিয়ান করিডর’-এ হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। রুশ সেনার এই আগ্রাসনের কারণে মারিউপোলে সাধারণ নিরীহ নাগরিকদের উদ্ধার অভিযান আরও একবার ব্যাহত হয়েছে। যদিও ক্রেমলিনের তরফে ইউক্রেনের এই অভিযোগ (Russia-Ukraine war) নিয়ে পালটা কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
#BREAKING Ukraine defence minister says Russia violating Mariupol corridor pic.twitter.com/LisG4vpxJX
— AFP News Agency (@AFP) March 8, 2022
রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ এই প্রথম নয়। ৫ মার্চ, শনিবার যুদ্ধবিরতির প্রথম দিনেই ক্রেমলিনের বিরুদ্ধে চুক্তি লঙ্ঘন অভিযোগ তোলে ইউক্রেন। যে কারণে ইউক্রেনে আটকে পড়া ভিনদেশি পড়ুয়াদের নিরাপদ-উদ্ধারে সমস্যা তৈরি হয়। সোমবার রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের তরফে এ নিয়ে নালিশও করা হয়। ভারতের অভিযোগ, যুদ্ধরত দু-দেশের কাছেই সাময়িক যুদ্ধবিরতির আর্জি জানানো হয়েছিল। যাতে ইউক্রেনের সুমি শহরে আটকে পড়া ভারতীয় পড়ুয়াদের নিরাপদে উদ্ধার করা সম্ভব হয়। কিন্তু, একাধিকবার আবেদন-নিবেদনের পরেও সুমি থেকে তারা ভারতীয়দের উদ্ধারে ব্যর্থ হয়। যদিও মঙ্গলবারই সুমি শহরে আটকে থাকা প্রায় ৭০০ জন পড়ুয়াকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। খুব শিগগিরই তাঁরা ‘অপারেশন গঙ্গা’-র বিশেষ উড়ানে দেশে ফিরবেন।
ভারতীয় বিদেশমন্ত্রক সূত্রে খবর, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ বাধার পর থেকে সোমবার পর্যন্ত ২০ হাজার ভারতীয়কে দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে বাকিদেরও দ্রুত ফিরিয়ে আনতে তত্পর নয়াদিল্লি। ইউক্রেনে আটকে থাকা ভারতীয়দের উদ্দেশে এ দিন নতুন করে অ্যাডভাইজারিও জারি করে কিভের ভারতীয় দূতাবাস।