ওয়েব ডেস্ক: যুদ্ধের আগুনে জ্বলছে মধ্যপ্রাচ্য। ইজরায়েল ও ইরানের ঘাত-প্রত্যাঘাতে (Israel-Iran War) দু’দেশেই শুউরু হয়েছে মৃত্যুমিছিল। পশ্চিম এশিয়ার এই সংঘাত যখন সংবাদ শিরোনামে, তখন অতর্কিতে ফের ইউক্রেনে (Ukraine) হামলা চালাল রাশিয়া (Russia)। জানা গিয়েছে, সোমবার গভীর রাতে কিয়েভে একের পর এক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা (Air Strike) চালায় রুশ বাহিনী। আর এই অতর্কিত হামলার জেরে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১৪ জন, আহত শতাধিক।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সোমবার রাতভর কিয়েভ শহরে হামলা চালায় রুশ সেনা। শহরের সামরিক প্রশাসনের দাবি, একাধিক ড্রোন ও মিসাইল ছোড়া হয় রাজধানীর উপর। একটি ৯ তলা আবাসনে আছড়ে পড়ে ক্ষেপণাস্ত্র, যার জেরে বহু মানুষ মৃত এবং আহত হয়েছেন বলে খবর। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি (Volodymyr Zeklensky) রাশিয়ার এই হামলাকে ‘কিয়েভের বুকে অন্যতম ভয়াবহ আক্রমণ’ বলে বর্ণনা করেছেন।
আরও পড়ুন: ‘আগ্রাসী’ ইরান নয়, ইজরায়েলকেই সমর্থন বিশ্বের সপ্তরথীর?
জানা গিয়েছে, সোমবার রাতের এই আক্রমণে রাশিয়া প্রায় ৪৪০টি ড্রোন এবং ৩২টি মিসাইল ব্যবহার করেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ‘অপারেশন স্পাইডার ওয়েব’-এর পাল্টা জবাব হিসেবে এই হামলা চালিয়েছে মস্কো। উল্লেখ্য, ১ জুন ইউক্রেনের সেনাবাহিনী রাশিয়ার একাধিক বিমানঘাঁটিতে হামলা চালায়, ধ্বংস করে Tu-95, Tu-22M3 বোমারু বিমান ও একটি নজরদারি বিমান A-50। সেই ঘটনার পর থেকেই পাল্টা হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছিল রাশিয়া।
এদিকে, কানাডার কানানাস্কিসে জি-৭ সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) জানিয়েছেন, রাশিয়া এবং চীনকে এই গোষ্ঠীতে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। তাঁর মতে, “যদি রাশিয়াকে জি-৭ থেকে বাদ না দেওয়া হত, তাহলে ইউক্রেন যুদ্ধ এড়ানো যেত।” এমনকি, তিনি যুদ্ধের জন্য প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এবং কানাডার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকেও দায়ী করেছেন।
দেখুন আরও খবর: