কিইভ: কয়েকমাস ধরে যে আশঙ্কা পশ্চিমি দেশগুলি করছিল সেটা করেই দেখাল রাশিয়া৷ ভারতীয় সময় বৃহস্পতিবার ভোর থেকে ইউক্রেনের ভূখণ্ডে সেনা অভিযান শুরু করে পুতিনের দেশ৷ রুশ বাহিনীকে ঠেকাতে পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে ইউক্রেনের সেনা৷ কিন্তু দেশ বাঁচানোর লড়াইয়ে দেশের নাগরিকদেরও এগিয়ে আসার আবেদন জানালেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনেস্কি৷ নাগরিকদের অস্ত্র হাতে তুলে নেওয়ার নিদান দেন তিনি জানিয়েছেন, নাৎসি জার্মানির পর রাশিয়া আক্রমণ করেছে৷
রাশিয়ার আক্রমণ সত্ত্বেও দেশবাসীকে শান্ত থাকার পরামর্শ দেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট৷ এদিন দেশবাসীর উদ্দেশ্যে ভাষণে তিনি বলেন, ‘নিজের শহর, নিজের বাড়ি বাঁচাতে এবার তৈরি হোন৷ ইউক্রেন কিছুতেই স্বাধীনতা হারিয়ে বশ্যতস্বীকার করবে না৷ স্বাধীনতাই হল সর্বোচ্চ মূল্যবান৷ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নাৎসী জার্মানি যেভাবে আক্রমণ করেছিল, ইউক্রেনে রাশিয়ার সেনা সেই কায়দায় হামলা করেছে৷’
বৃহস্পতিবার ভোটে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে সেনা অভিযানের কথা ঘোষণা করে দেন৷ তারপরই ইউক্রেনের রাজধানী কিইভ এবং অন্যতম বড় শহর খারকিভে শুরু হয়ে যায় ক্ষেপনাস্ত্র ছোড়া৷ সেনা অভিযান শুরুর আগে ইউক্রেনের সেনাকে আত্মসমর্পণ করার হুঁশিয়ারি দেন পুতিন৷ জানান, অস্ত্র ছেড়ে তারা যেন বাড়ি চলে যায়৷ তিনি বলেন, রাশিয়া এবং ইউক্রেনের বাহিনীর মধ্যে সংঘাত অপরিহার্য ছিল৷ ইউক্রেন থেকে নাৎসীবাদের প্রভাব দূর করার লক্ষ্যে সেখানে সামরিক অভিযান শুরু করেছে রাশিয়া৷
আরও পড়ুন: Russia-Ukraine War: কেন যুদ্ধ? রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণ কি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের অশনি সংকেত?