ওয়েব ডেস্ক: মহাত্মা গান্ধীর দুষ্প্রাপ্য তৈল চিত্র নিলাম (Auction) হবে লন্ডনে। বোনহামসে (Bonhams) জুলাইয়ের দ্বিতীয় সপ্তাহে ওই নিলাম অনুষ্ঠিত হবে। ১৯৩১ সালে আঁকা হয়েছিল ওই তৈল চিত্র। ব্রিটিশ (UK) শাসনাধীন ভারতে অহিংসার আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মহাত্মা গান্ধী (Mahatma Gandhi)। তাঁকে দেশবাসী জাতির পিতা বলে মনে করতেন। সেসময় ওই তৈল চিত্র (Oil Portrait) এঁকেছিলেন, ব্রিটিশ শিল্পী ক্লেয়ার লিইটন (Clare Leighton)। বলা হয় এটিই একমাত্র তৈল চিত্র যেটার জন্য গান্ধী বসেছিলেন। ১৯৩১ সালে মহাত্মা গান্ধী লন্ডনে গিয়েছিলেন দ্বিতীয়বারের জন্য বৈঠকে যোগ দিতে। ভারতে সাংবিধানিক সংস্কার নিয়ে আলোচনা করতে গিয়েছিলেন।
ওই তৈল চিত্র শিল্পীর ভাইপো কাসপার লিইটন বলেন, এটা অনন্য ইতিহাস ও সাংস্কৃতিক তাৎপর্যের ছবি। ভারত ও অন্যান্য জায়গায় সর্বত্র এটি প্রশংসিত হলে খুব ভালো হবে। ওই ছবিটি ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত শিল্পীর মৃত্যুর আগে পর্যন্ত তাঁর কাছেই ছিল। শিল্পীর স্বামী ব্রিটিশ সাংবাদিক হেনরি নোয়েল ব্রেলস ফোর্ড তাঁকে গান্ধীর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন। যিনি ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের শক্তিশালী সমর্থক ছিলেন। লন্ডনের আলবানি গ্যালারিজে প্রদর্শনীতে গান্ধীর পোট্রেট তুলে ধরা হয়। দ্বিতীয় রাউন্ড টেবিল বৈঠকে গান্ধীর সহযোগী হিসেবে সরোজিনী নাইডু ওই প্রদর্শনীতে হাজির ছিলেন।
আরও পড়ুন: ইজরায়েলে খুন করে দেহ নিয়ে যায় হামাস, উদ্ধার গাজা থেকে
ওই তৈলচিত্র সম্পর্কে ব্রিটিশ সাংবাদিক উইনিফ্রেড হল্টবি লিখেছেন, এই ছোট্ট মানুষটির মাথা চুল হীন। ব্লাঙ্কেট জড়িয়ে আছেন। একটি আঙুল উঠে আছে। কোনও একটি পয়েন্টকে জোর দেওয়া বোঝাতে তা রয়েছে। তিনি মুখে কথা বলছেন। যাতে মনে হচ্ছে হাসছেন। ওই মাসেই গান্ধীর ব্যক্তিগত সচিব মহাদেব দেশাই লিইটনকে লেখেন, আমার অনেক বন্ধু অ্যালবানি গ্যালারিতে যাঁরা এটা দেখেছেন। তাঁদের এটি খুব ভালো লেগেছে।
শিল্পীর পরিবারের দাবি, ১৯৭০ সালে আমেরিকায় এই তৈল চিত্রের প্রদর্শনী হয়েছিল। সেসময় ছুরি দিয়ে হামলা চালানো হয় এতে। পরে ১৯৭৪ সালে কানিক্টাকাটের লিম্যান অ্যালিন মিউজিয়াম কনজার্ভেশন ল্যাবরেটরি এটা ঠিক করে সংরক্ষণ করে। ১৯৪৮ সালের ৩০ জানুয়ারি মহাত্মা গান্ধীকে নাথুরাম গডসে গুলি করে হত্যা করে।
দেখুন অন্য খবর: