কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: লঙ্কার সিংহাসনে ‘শিয়াল।’ পাহাড়, জঙ্গল ও সমুদ্রে ঘেরা ক্ষুদ্র এই দ্বীপরাষ্ট্রের রাজনীতিতে চতুর, অভিজ্ঞ ও মিঠেকথায় কাজ হাসিল করার অসীম দক্ষতার জন্য লোকজন আড়ালে রনিল বিক্রমসিঙ্ঘেকে এই নামেই ডাকে। আর ঠিক এই ছকেই তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা বিপুল জনরোষের মধ্যেও গোতাবায়া রাজাপক্ষের উত্তরসূরির পদটি ছিনিয়ে নিলেন বিক্রমসিঙ্ঘে।
তাঁর জয় ঘোষণার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই কলম্বোর জনতা ফের পথে নেমে এসেছে। প্রেসিডেন্টের সচিবালয়ের বাইরে আন্দোলনকারীরা ফের জড়ো হয়েছেন। তাঁরা সেখানে বিক্রমসিঙ্ঘে বিরোধী স্লোগান দিচ্ছেন। ধীরে ধীরে সেই জমায়েত বাড়ছে। তা দেখে কলম্বো ফোর্ট আদালত জমায়েত নিষিদ্ধ করার একটি নির্দেশও জারি করে দিয়ছে। এক নির্দেশে আদালত বলেছে, বন্দরনায়েকের মূর্তির ৫০ মিটারের মধ্যে কোনও জমায়েত নিষিদ্ধ করেছে।
আরও পড়ুন: Sri Lanka-India: শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নাক গলায়নি ভারত, অভিযোগ নাকচ
রনিল বিক্রমসিঙ্ঘের উত্থান নজরকাড়া। এর আগে দুবার তিনি প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হলেও দুবারই হেরে যান। কিন্তু, এবার তাঁর দলের মাত্র একজন এমপি থাকা সত্ত্বেও প্রচুর ব্যবধানে জয় ছিনিয়ে নিয়েছেন রনিল। বিক্রমসিঙ্ঘে সম্প্রতি আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডারে সঙ্গে এক সমঝোতা করেছিলেন। দেশকে অর্থসঙ্কটের ভরাডুবি থেকে উদ্ধার করতে ভারতের সঙ্গেও ভালো যোগাযোগ রেখেছিলেন। এছাড়াও বিদেশ থেকে ডলার সংগ্রহে বেশ উদ্যোগ নিয়েছিলেন।