ওয়েবডেস্ক- ইজরায়েল-ইরান যুদ্ধের (Israel-Iran war) আঁচ পড়েছে গোটা বিশ্বে। আমেরিকার ইরানের উপর ‘অপারেশন মিডনাইট হ্যামার’ (Operation Midnight Hammer) চালানোর পর অভিযান দ্বিগুণ করেছে ইরান। আশদোডে (Ashdod) প্রলয়ংকর দৃশ্য, ইরানের (Iran) ২১তম হামলায় নৌঘাঁটিতে প্রচণ্ড আঘাত, আগুনে জ্বলছে বিদ্যুৎকেন্দ্র। ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র IDF নৌঘাঁটিতে আঘাত হানার পর এলাকায় এক বিশাল বিস্ফোরণ ঘটে এবং একটি বড় বিদ্যুৎকেন্দ্র ধ্বংস হয়ে যায়, চারিদিকে ধোঁয়ার কুণ্ডলী।
এই যুদ্ধের আবহে ইরানকে (Iran) কেনো রাশিয়া (Russia) সাহায্য করছে না, তা স্পষ্ট করলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Russian President Vladimir Putin)। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, আমেরিকা ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলিকে আঘাত হেনেছে। কিন্তু তার পরেও মস্কো ইরানে পাশে দাঁড়াতে পারছে না। পুতিন আরও জানিয়েছেন, রাশিয়া এবং ইরানের মধ্যে কয়েক দশক ধরে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে, কিন্তু এই সংঘাতে নিরপেক্ষ থাকার চেষ্টা করছেন, কারণ ইজরায়েলে বিপুল সংখ্যক রুশভাষী মানুষ বাস করে।
আরও পড়ুন – ইরান-ইজরায়েলের উত্তেজনা রুখতে মুসলিম দেশগুলোর দল গঠন
সেন্ট পিটার্সবার্গে আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক ফোরামে পুতিন বলেন, “আমি বলতে চাই, যে প্রাক্তন সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং রাশিয়ান ফেডারেশনের প্রায় দুই মিলিয়ন মানুষ ইজরায়েলে বসবাস করে। এটি আজ প্রায় একটি রুশভাষী দেশ। সেটি আমরা সব সময় বিবেচনায় রেখেছি। পুতিন পাল্টা আক্রমণ যারা রাশিয়ার মিত্রদের প্রতি আনুগত্য নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। পুতিন সমালোচকদের উস্কানিদাতা বলে আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, আরব দেশ এবং ইসলামী দেশ উভয়ের সঙ্গেই রাশিয়ার সম্পর্ক দীর্ঘদিন ধরে বন্ধুত্বপূর্ণ ছিল। রাশিয়ার জনসংখ্যার ১৫ শতাংশ মুসলিম। তিনি আরও উল্লেখ করেন যে রাশিয়াও ইসলামী সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি) তে একজন পর্যবেক্ষক ছিল।
প্রসঙ্গত, ইরানের উপর ‘অপারেশন মিডনাইট হ্যামার’ চালিয়েছে আমেরিকা। আমেরিকা ১৪,০০০ কেজি ওজনের বাঙ্কার-বাস্টার বোমা পাঠিয়ে তছনছ করে দিয়েছে পরমাণু ঘাঁটি ফরদো, নাতানজ ও ইসফাহান। ট্রাম্প এই হামলাকে “একটি অসাধারণ সামরিক সাফল্য” বলে প্রশংসা করেছেন। সেইসঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্টের দাবি ইরানের প্রধান পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণ স্থাপনা “সম্পূর্ণ এবং সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস” করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, পুতিন আগে ইরান ও ইজরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে বলেন, ‘আমার একটি উপকার করুন, আপনার নিজের মধ্যস্থতা করুন। প্রথমে রাশিয়ার মধ্যস্থতা করা যাক। আপনি পরে এই বিষয়ে চিন্তা করতে পারেন।”
দেখুন আরও খবর-