ঢাকা: বাংলাদেশে হিংসার ঘটনার প্রতিবাদে শাহবাগ মোড়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা বিভোক্ষ প্রত্যাহার করা হয়েছে৷ সোমবার পড়ুয়ারা প্রায় চার ঘণ্টা অবস্থান বিক্ষোভ করে৷ তারপর প্রশাসনের অনুরোধে বিক্ষোভ প্রত্যাহার করেছে৷ কিন্তু, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বাংলাদেশ প্রশাসনকে তাঁদের সাত দফা দাবি পূরণ করতে হবে৷ সোমবার সকাল সাড়ে ১০ টা থেকে পড়ুয়ারা রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করে।
পড়ুয়াদের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও আন্দোলনকারীদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন। এ দিন শাহবাগ থেকে পল্টন, সায়েন্স ল্যাবরেটরি, বাংলা মোটর এবং টিএসসি অবরোধের কারণে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
আন্দোলনকারীদের দেওয়া–দফা দাবিগুলোর মধ্যে, হামলাকারীদের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত মন্দিরগুলি সংস্কার করা, ভাঙচুর ও বাড়িঘর ও ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানের লুণ্ঠনের জন্য ক্ষতিপূরণ দেওয়া, হামলাকারীদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা এবং ধর্ষণ ও হত্যার শিকার হওয়া পরিবারগুলিকে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করতে হবে প্রশাসনকে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মন্দির ও বাড়িতে হামলাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তির জন্য সংসদে একটি আইন তৈরির দাবি জানানো হয়েছে৷ প্রয়োজনে এরজন্য একটি স্বতন্ত্র মন্ত্রণালয় এবং সংখ্যালঘুদের জন্য কমিশন গঠন, হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্টকে আধুনিকীকরণ এবং জাতীয় জিডিপির ১৫ শতাংশ বরাদ্দের দাবি জানানো হয়েছে৷ যার উল্লেখ থাকবে সংখ্যালঘু বাজেটে। এ দিনের বিক্ষোভ বেলা ২.১৫ মিনিট নাগাদ প্রত্যাহার করা হয়৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলে ছাত্র লিগের সভাপতি জয়জিৎ দত্তের ভাষণে বিক্ষোভ প্রত্যাহার হয়৷
ভাষণে তিনি বলেন, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। আমাদের দাবিগুলো যদি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পূরণ না হলে এবং দেশের যেকোনো স্থানে নতুন করে হামলা চালানো হলে আমরা তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেব। মানুষের অসুবিধার কথা বিবেচনা করে কর্তৃপক্ষকে ২৪ ঘণ্টা সময় দিয়ে আমরা আমাদের প্রতিবাদ কর্মসূচি বাতিল করছি। ” যদিও তিনি আরও বলেন, সরকারের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এখনও তাদের কোনও আশ্বাস দেননি।
আরও পড়ুন-কৃষকদের ‘রেল রোকো’তে ১৩০ জায়গায় ৫০ ট্রেন অবরুদ্ধ, বাতিল একাধিক
জয়জিৎ বলেন, ইসকন বাংলাদেশ আমাদের সমর্থন করেছে এবং প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি পাঠিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন। আমরা আশাবাদী৷ এ দিন জগন্নাথ হলের প্রভোস্ট মিহির লাল সাহা, হলের সাবেক প্রভোস্ট অসীম কুমার সরকার এবং আইন বিভাগের অধ্যাপক গোবিন্দ চন্দ্র মণ্ডলও বিক্ষোভের সময় বক্তব্য রাখেন। ইসকন বাংলাদেশ পড়ুয়াদের আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করে দুপুর ১২ টার দিকে প্রতিবাদে যোগ দেয়। ইসকন বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক চারু চন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী তাঁর বক্তব্যে হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আহ্বান জানান।