ওয়েব ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট (US President) হিসেবে দ্বিতীয়বার কুর্সিতে বসার পর থেকেই বিতর্কের কেন্দ্রে রয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। তাঁর একাধিক নীতি নিয়ে হয়েছে বিস্তর সমালোচনা। ইতিমধ্যে একাধিক দেশের সঙ্গে মতবিরোধ হয়েছে ট্রাম্পের। আর এবার তাঁর বিরুদ্ধে সরাসরি বিক্ষোভে (Protest) নামল আমেরিকানরা। শনিবার ওয়াশিংটন ডিসি থেকে শুরু করে সান ফ্রান্সিসকো পর্যন্ত হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে অংশ নেন। হাতে প্ল্যাকার্ড, মুখে স্লোগান— মাইলের পর মাইল হাঁটছেন তাঁরা।
অভিবাসীদের বিতাড়ন, সরকারি চাকরিতে ব্যাপক ছাঁটাই, রূপান্তরকামীদের স্বীকৃতি না দেওয়া, নতুন শুল্কনীতি এবং গাজা-ইজরায়েল যুদ্ধ নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের অবস্থান— সব কিছুই মার্কিন নাগরিকদের রোষের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই বিক্ষোভে অংশ নেন বিভিন্ন নাগরিক অধিকার সংগঠন, শ্রমিক ইউনিয়ন, প্রান্তিক লিঙ্গ পরিচয়ের মানুষজন, ছাত্রছাত্রী ও রাজনৈতিক কর্মীরা। শুধু ট্রাম্প নন, টেক জায়ান্ট টেসলার কর্ণধার ইলন মাস্কের (Elon Musk) বিরুদ্ধেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন অনেকে।
আরও পড়ুন: মিলে গেল নিজের ভবিষ্যদ্বাণী, ইজরায়েলি হামলায় মৃত গাজার সাংবাদিক
শনিবার আয়োজিত এই দেশব্যাপী আন্দোলনের পেছনে ছিল ‘৫০৫০১’ নামের একটি সংগঠন, যার অর্থ ৫০টি স্টেটে ৫০টি বিক্ষোভ এবং একটি বৃহত্তর প্রতিবাদ। জানা গিয়েছে, আমেরিকার ১,২০০-রও বেশি জায়গায় ৭০০-র বেশি বিক্ষোভ কর্মসূচি আয়োজিত হয় এদিন। নিউ ইয়র্ক, কলোরাডো, লস অ্যাঞ্জেলেস, হিউস্টন, ওয়াশিংটনের মতো বড় শহরগুলিতে উত্তেজনার পারদ ছিল চরমে।
Sarasota Protest 4/19/25 #HandsOff #NoKings #50501protest
Bigger than 4/5! 👏 So much support from the road, MASSIVE turnout and a march across the Ringling Causeway. 🇺🇸 Saw a bunch of “Republicans Against Trump” signs too.This is what democracy looks like ✊ pic.twitter.com/27NtP7poWI
— J Rance (@WillaRance) April 19, 2025
বিক্ষোভকারীরা জানান, “আমরা কোনও রাজতন্ত্রে বিশ্বাস করি না। আমেরিকায় ফ্যাসিবাদ চলবে না।” একই সঙ্গে ইজরায়েল-গাজা যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষপাতদুষ্ট নীতির বিরুদ্ধে সরব হন তাঁরা। একাধিক প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল, “আমেরিকা সকলের”, “অত্যাচার থামাও”, “অভিবাসীদের স্বাগত” ইত্যাদি।
দেখুন আরও খবর: