ইসলামাবাদ: পাকিস্তানে এখনও পর্যন্ত যা রাজনৈতিক পরিস্থিতি, তাতে বিরোধীদের সম্মলিত শক্তিকে পরাস্ত করে ইমরান খানের (Imran Khan) কুর্সি ধরে রাখা কঠিন। সংসদে বিরোধীদের আনা অনাস্থায় আক্ষরিক অর্থেই কোণঠাসা অবস্থা ইমরানের পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ সরকারের। মূল জোটসঙ্গী মুত্তাহিদা কৌমি মুভমেন্ট পাকিস্তান (MQM) ইমরান খানের হাত ছেড়ে বিরোধী শিবিরে শামিল হওয়ায়, অনাস্থায় তাঁর পরাজয় একরকম নিশ্চিত। ইমরান নিজেও বুঝে গিয়েছেন সরকার পড়ার মুখে। এই অবস্থায় বুধবার সন্ধ্যায় দেশবাসীর উদ্দেশে ভাষণ দিতে চলেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী।
কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়ে দেশবাসীর উদ্দেশে ইমরান কী বলেন, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহল তো বটেই, পাকিস্তানের আপামর মানুষের আগ্রহ থাকবে। তবে, ঘনিষ্ঠমহলে তিনি অভিযোগ করেন, পাক সরকার ফেলার ‘ষড়যন্ত্র’ করছে ‘বিদেশি শক্তি’ (foreign conspiracy)। পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ রশিদ আহমেদ ইমরানের নাম করে এ কথা জানিয়েছেন। মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠকও ডেকেছেন।
Prime Minister Imran Khan will address the nation in evening to take them into confidence over a ‘foreign conspiracy’ letter aimed at toppling the incumbent government
Read More: https://t.co/RjYd3TFHvv#arynews #PMImranKhan pic.twitter.com/GbMm55Ez4K
— ARY NEWS (@ARYNEWSOFFICIAL) March 30, 2022
বৃহস্পতিবারই বিরোধীদের আনা অনাস্থার উপর বিতর্ক রয়েছে পাকস পার্লামেন্টে। ২ বা ৩ এপ্রিল ভোটাভুটি হতে পারে। তার আগে মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠক ডাকা এবং দেশবাসীর উদ্দেশে তার ভাষণ পাকিস্তানের রাজনীতির জন্য তাত্পর্যপূর্ণ হতে চলেছে।
মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত যা পরিস্থিতি, তাতে স্পষ্ট, সংসদের নিম্নকক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে ইমরান খানের সরকার (Pak Prime Minister)। বিরোধীরাও আত্মবিশ্বাসী, আস্থাভোটে জিততে পারবেন না ইমরান। অঙ্কের হিসেবে এই মুহূর্তে বিরোধী জোটে ১৭৭ জন সংসদ সদস্য রয়েছেন। ৩৪২ আসনের সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে দরকার ১৭২ জনের সমর্থন। ১৭৯ জন সদস্যের সমর্থন নিয়ে ২০১৮-য় জোট সরকার গড়েছিলেন ইমরান। MQM-P শাসকজোট থেকে সরে দাঁড়ানোয় ইমরানের পক্ষে রয়েছে ১৬৪ জনের সমর্থন। ফলে, প্রধানমন্ত্রীর কুর্সি ধরে রাখতে হলে কমপক্ষে আরও ৮ সাংসদের সমর্থন দরকার।
আরও পড়ুন: Gadkari Hydrogen Car: ‘হাইড্রোজন গাড়ি’তে সংসদে এলেন গডকরি, কিলোমিটারে খরচ মাত্র ২ টাকা!