ওয়েব ডেস্ক: প্রয়াত হলেন পোপ ফ্রান্সিস (Pope Francis Death)। সোমবার ভ্যাটিকান সিটি (Vatican City) সূত্রে জানানো হয়েছে, ৮৮ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন রোমান ক্যাথলিক চার্চের (Roman Catholic Church) এই প্রথম লাতিন আমেরিকান ধর্মগুরু। লাতিন আমেরিকার (Latin America) মানুষ হিসেবে তিনিই প্রথম পোপ হয়েছিলেন। সূত্রের খবর, সোমবার সকাল ৭:৩৫টায় প্রয়াত হয়েছেন পোপ। কার্ডিনাল কেভিন ফেরেল জানান, ‘বিশপ অফ রোম’ পরমপিতার ধামে ফিরে গেছেন।
২০১৩ সালে পোপ বেনেডিক্ট ষোড়শের পদত্যাগের পর ক্যাথলিক ধর্মাবলম্বীদের সর্বোচ্চ পদে অভিষিক্ত হন আর্জেন্টিনার (Argentina) জর্জ মারিও বেরগোলিও। যিনি বিশ্ববাসীর কাছে পরিচিত পোপ ফ্রান্সিস নামে। পোপ হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার সময় তাঁর বয়স ছিল ৭৬ বছর।
আরও পড়ুন: ট্রাম্পের বিরুদ্ধে স্লোগান, আমেরিকার রাস্তায় হাজার হাজার মানুষ, কেন?
তবে ১২ বছরের দীর্ঘ পোপত্বকালে নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগেছেন তিনি। শেষ কয়েক মাসে একাধিকবার হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে তাঁকে, যা নিয়ে বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ তৈরি হয়। তাই আজ এই মহান পোপের মৃত্যুতে শোকাহত কোটি কোটি ক্যাথলিক ধর্মাবলম্বী।
প্রসঙ্গত, পোপ হিসেবে ফ্রান্সিস ছিলেন সংস্কারকামী ও আধুনিক মানসিকতার। দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি দ্রুত উদ্যোগ নিয়ে ভ্যাটিকানের প্রশাসনিক কাঠামো পুনর্গঠিত করেন। চারটি বড় ধর্মীয় শিক্ষাদর্শ প্রকাশ করেন, ৪৭টি বিদেশ সফরে গিয়ে ৬৫টিরও বেশি দেশে ঘোরেন এবং ৯০০-র বেশি মানুষকে ‘সন্ত’ বা ‘সেইন্ট’ হিসেবে ঘোষিত করেন।
এছাড়াও সমকামী দম্পতিদের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে পুরোহিতদের আশীর্বাদ দেওয়ার অনুমতি দেওয়া, ভ্যাটিকান অফিসে নেতৃত্বস্থানে প্রথমবারের মতো নারীদের নিয়োগ দেওয়া— এসব সাহসী সিদ্ধান্ত তাঁকে এক অনন্য আধুনিক ধর্মগুরুর মর্যাদায় উন্নীত করে। এককথায়, পোপ ফ্রান্সিসের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে আধুনিক খ্রিস্টধর্মের ইতিহাসে।
দেখুন আরও খবর: