ইস্তানবুল: দুই দশক পড়ে ফের তালিবানেরে আফগানিস্তান দখলের পিছনে বড় মদত রয়েছে পাকিস্তানের। এমনই দাবি করলেন কাবুলিওয়ালার দেশের পপ তারকা আরিয়ানা সায়িদ। সেই সঙ্গে জানিয়ে দিলেন যে আফগানিস্তানের প্রকৃত বন্ধু হচ্ছে ভারত। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে আফগানিস্তানের পাশে দাঁড়ানোর জন্য ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।
তালিবান কাবুলের দখল নিতেই কাতার হয়ে তুরস্কে চলে যান এই আফগান তারকা। সেখান থেকে সোশ্যাল মিডিয়া মারফত নিজের অবস্থান জানিয়েছিলেন আরিয়ানা। চলতি সপ্তাহে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি। ফের নিজের দেশের প্রতিকূলতার জন্য পড়শি রাষ্ট্র পাকিস্তানকে কাঠগড়ায় তুলেছেন তিনি। তাঁর মতে, “আফগানিস্তানে তালিবানকে নিয়মিত আর্থিক সাহায্য জুগিয়েছে পাকিস্তান।”
একই সঙ্গে তিনি আরও বলেছেন, “পাকিস্তান থেকে প্রশিক্ষণ নেয় তালিবান। পাকিস্তানের নির্দেশেই কাজ করে থাকে তারা। এই বিষয়ে বহু প্রমাণ রয়েছে আফগান সরকারের কাছে। গত কয়েক বছরে বহু তালিবন গ্রেফতার হয়েছে যারা সকলেই পাকিস্তানের নাগরিক।” আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলি এই বিষয়ে সক্রিয় হয়ে যাতে ব্যবস্থা নেয় সেই আবেদন জানিয়েছেন পপ তারকা আরিয়ানা সায়িদ। তালিবান রুখতে তাঁর পরামর্শ, “আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলি অবিলম্বে পাকিস্তানকে আর্থিক সাহায্য বন্ধ করুক। তাহ্লেই তালিবানের সাহায্য বন্ধ হয়ে যাবে।”
আরও পড়ুন- দুয়ারে সরকার প্রকল্প সফল করতে এগিয়ে এলেন বিজেপি নেত্রী
গত এক সপ্তাহের বেশি সময়ে বহু ভারতীয়কে আফগানিস্তান থেকে ভারতে নিয়ে আসা হয়েছে। সেই সঙ্গে অনেক আফগান নাগরিককেও উড়িয়ে নিয়ে আসা হয়েছে ভারতে। যার জন্য ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন আফগান তারকা আরিয়ানা। তাঁর কোথায়, “সমগে আফগানিস্তানের পক্ষ থেকে আমি ভারতকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। দীর্ঘদিন ধরে আমরা প্রতিবেশি ভারতের থেকে অনেক সাহায্য পেয়েছি। আফগানিস্তানের প্রকৃত বন্ধু হছে ভারত।” সেই সঙ্গে তিনি আরও বলেছেন, “ভারতীয়দের সঙ্গে আলাপ হয়েছে এমন যত আফগানের সঙ্গে আমি কথা বলেছি তারা সবাই ভারতীয়দের প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন। ভারতের মতো পড়শি পেয়ে আমরা কৃতজ্ঞ।”
নিজে নিরাপদ জায়গায় পৌঁছে গেলেও আফগানিস্তানে তেকে যাওয়া মহিলাদের নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন আরিয়ানা। তাঁর মতে, “আমরা আবার ২০ বছর পিছিয়ে গেলাম। আমার চিন্তা হচ্ছে আফগান মহিলাদের জন্য। তালিবান তাঁদের সকল অধিকার কেড়ে নেবে। বাড়ির বাইরে যেতে দেবে না, স্কুলে যেতে দেবে না। তালিবান রাজত্ব কায়েম হলে আফগানিস্তানে মেয়েদের আর কোনও ভবিষ্যৎ থাকবে না।” সেই সঙ্গে তিনি আরও বলেছেন, “এত কম সময়ের মধ্যে তালিবান সমগ্র আফগানিস্তানের দখল নেবে তা ভাবতে পারিনি।”