কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: পাক অধিকৃত কাশ্মীরে নির্বাচন চলছে। আর এই নির্বাচনে ভারতের হস্তক্ষেপ দাবি করল পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের দল পিএম এল এন। পাক অধিকৃত কাশ্মীরে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে ইমরান খানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফ পিপিপি এবং নওয়াজ শরীফের পিএমএল-এন। নওয়াজের দলের এক প্রার্থী চৌধুরী মোহাম্মদ ইসমাইল এর দাবি ঘিরে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয় পাকিস্তানে।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি সফরের আগেই এলাকা পরিদর্শন চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফের
ইসমাইল বলেন, তার নির্বাচনী ক্যাম্পকে বানছাল করে দিয়েছে ইমরান সরকার। স্থানীয় প্রশাসন সম্পূর্ণ ইমরান খানের এই কাজ করছে। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, স্থানীয় প্রশাসন যদি তাঁর নির্বাচনী কার্যকলাপে বাধা সৃষ্টি করে তাহলে তিনি ভারতের সাহায্য নেবেন। আর এইভাবে পাকিস্তানি নেতার ভারতের সাহায্য চাওয়ায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
পাক অধিকৃত কাশ্মীর নির্বাচনে বিশৃঙ্খলার জন্য ইমরান সরকারকে কাটগড়া তুলেছে পিপিপি পিএমএল-এন সহ পাকিস্তানের অন্যান্য বিরোধী দলগুলি। তাদের অভিযোগ কাশ্মীরের ভোটে ব্যাপক কারচুপি আর রিগিং করেছে ইমরানের দল। তাঁকে সম্পূর্ণ সহায়তা করছে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন। আর বিরোধীদের ওপর ইমরান সরকারি দমন প্রতিহত করতেই ভারতের সাহায্য চেয়ে বসেন চৌধুরী মোহাম্মদ ইসমাইল। যদিও এই ঘটনায় যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়ে ইসলামাবাদ। তবে বিষয়টিকে নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চায়নি ইমরান খানের সরকার।
বিগত কয়েকদিন ধরেই আফগানিস্তানের মাটিতে কূটনৈতিক সংঘাতে লিপ্ত ভারত ও পাকিস্তান। ডন, এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের মতো পাকিস্তানের প্রথম সারির দৈনিকে ভারতকে আফগানিস্থানে অশান্তি সৃষ্টির অন্যতম কারিগর বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। এমনকি আশরাফ ঘানি সরকারকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে ভারত সামরিক সাহায্য দিচ্ছে বলে দাবি করা হয়।
আরও পড়ুন: উত্তপ্ত হচ্ছে আফগানিস্তান, সতর্ক করল ভারতীয় দূতাবাস
তারই প্রেক্ষিতে আফগান সীমান্তে প্রতিদিনই সেনা সমাবেশ বৃদ্ধি করছে পাকিস্তান। অন্যদিকে, ২০১৯ সালে জম্মু কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা অবলুপ্তি করে ভারত। তারপর থেকেই দু’দেশের সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। সীমান্ত গুলি চালনা ড্রোনের নজরদারির মতন সামরিক কার্যকলাপে নিয়ন্ত্রণ রেখা সবসময় উত্তপ্ত। তার মধ্যে সম্প্রতি আফগানিস্তান কে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের কূটনৈতিক যুদ্ধ দু’দেশের সম্পর্কের অবনতিতে নতুন মাত্রা নিয়েছে। এই আবহে পাক অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানের একটি রাজনৈতিক দলের এক নেতার এমন মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল।
কিছুদিন আগেই পাক অধিকৃত কাশ্মীর এবং গিলগিট-বালটিস্তানকে পঞ্চম ঘোষণা করতে তৎপর হয় ইমরান সরকার। যার তীব্র বিরোধিতা করে নয়াদিল্লি। কিছুদিন আগেই যার প্রেক্ষিতে নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর প্রায় ৫০ হাজার সেনা মোতায়েন করে ভারত। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে পাক অধিকৃত কাশ্মীর কে কেন্দ্র করে আর কতটা জল ঘোলা হবে? পিএমএল-এন নেতা মোহাম্মদ ইসমাইলের এই মন্তব্য কিন্তু সেই সম্ভাবনা আরও বাড়িয়ে দিল বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।