ওয়েবডেস্ক- মধ্যপ্রাচ্যের ১২ দিন ধরে চলা যুদ্ধের কী ইতি হল ট্রাম্পের (Donald Trump) মধ্যস্থতায়? এটাই এই সময় লাখ টাকার প্রশ্ন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অনুরোধে ইজরায়েল ও ইরান (Iran-Israel Conflict) যুদ্ধ বন্ধে রাজি হয়েছে বলেই খবর।
১৩ জুন থেকে ইরান ও ইজরায়লের মধ্যে হামলা থেকে প্রত্যাঘাত শুরু হয়। এর পর ২১ জুন ইরানে আমেরিকা হামলা ‘মিডনাইট হ্যামার’। এর পরবর্তীতে ২৩ জুন কাতারে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে ইরানের হামলা। ১২ দিন ধরে চলা চলমান রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে ১২ দিনের মাথায় হঠাৎ যুদ্ধবিরতির ঘোষণা করেন ট্রাম্প। এই যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন না করার বার্তা দিয়ে ইজরায়েল ও ইরানকে সতর্ক করলেন ট্রাম্প (US President Donald Trump)। সোশ্যাল মিডিয়ায় যুদ্ধবিরতির (Ceasefire) আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করেছেন তিনি। যুদ্ধবিরতি নিয়ে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে বেশ কয়েকটি পোস্ট করেছেন ট্রাম্প।
আরও পড়ুন- নোবেল শান্তি পুরষ্কারের জন্য মনোনীত ডোনাল্ড ট্রাম্প!
নিজের ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে একটি নতুন পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘যুদ্ধবিরতি এখন থেকে কার্যকর। দয়া করে এটি লঙ্ঘন করবেন না।’ সোমবারই গভীর রাতে ট্রাম্প সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়ে দেন, ইজরায়েল ও ইরান দুই দেশই যুদ্ধ বিরতিতে রাজি হয়েছে। এর জন্য দুই দেশকে ধন্যবাদও জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ট্রাম্পের ঘোষিত যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুসারে, ভারতীয় সময় অনুযায়ী মঙ্গলবার ভোর থেকে ইরানের জন্য যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। ১২ ঘণ্টা পরে ইজরায়েলের ক্ষেত্রে এই চুক্তি কার্যকর হবে।
কিন্তু তা খারিজ করে দেয় ইরান। এরপর ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পর ফের ইরান ইজরায়েলে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। তারপরেই ইরানের তরফে জানানো হয়, তারা শত্রুতা বন্ধ করবে। ইরানের বিদেশমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি বলেন, ‘ইজরায়েল যদি আক্রমণ বন্ধ করে, তবে তেহরানের আক্রমণ চালিয়ে যাওয়ার কোনও ইচ্ছা নেই।’ এরপরেই ফের সোশ্যাল মিডিয়ায় নতুন করে একটি পোস্ট করে যুদ্ধ বিরতির কথা ঘোষণা করেন ট্রাম্প।
তবে যুদ্ধ বিরতি ঘোষণার আগে ইজরায়েল ও ইরান দুই দেশেই ব্যাপক হামলা চালায়।
ইরানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ রেজা জাফরগানি জানিয়েছেন, আগের ২৪ ঘণ্টায় ইজরায়েলের হামলায় নিহত হয়েছেন ১০৭ জন। তাঁদের মধ্যে একজন পরমাণুবিজ্ঞানী রয়েছেন। আর ১২ দিনের সংঘাতে ইরানে মোট নিহতের সংখ্যা ৬০৬ জন। আহত হয়েছেন পাঁচ হাজার জনের বেশি।
দেখুন আরও খবর-