পেরু: পেরুর সোনার খনিতে (Peru Gold mine) ভয়াবহ আগুন (Fire)। ঝলসে মৃত্যু অন্তত ২৭ জন শ্রমিকের। দক্ষিণ পেরুর আরেকুইপা অঞ্চলের ‘লা এসপেরানজা’ সোনার খনিতে আগুন লাগে। গত কয়েক দশকে এটিই দক্ষিণ আমেরিকার দেশটিতে সবচেয়ে বড় খনি দুর্ঘটনা বলে জানা গিয়েছে। দুর্খঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকল ও উদ্ধারকারী দল। উদ্ধারকাজ শুরু হলেও অনেককেই বাঁচানো যায়নি। মাত্র ২ জনকে জ্বলন্ত খনি থেকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম স্বর্ণ উৎপাদক দেশ পেরু। দেশটি বছরে ১০০ টনেরও বেশি সোনা খনন করে যা সমগ্র বিশ্বের বার্ষিক সরবরাহের প্রায় ৪ শতাংশ। ।খনি সংস্থা ইয়ানাকুইহুয়া জানিয়েছে, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যখন আগুন ছড়িয়ে পড়ে, তখন খনি শ্রমিকরা ভূ-পৃষ্ঠের প্রায় ১০০ মিটার (৩৩০ ফুট) নীচে কাজ করছিলেন। আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় টানেল থেকে বাইরে বেরোতে পারেননি শ্রমিকরা। সোনার খনিতে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় দমকল ও উদ্ধারকারী দল। চলে আগুন নেভানোর কাজ। সেই সঙ্গে চলে উদ্ধার কাজ। খনিতে আটকে পড়া শ্রমিকদের মধ্যে ২৭ জনকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে আরও ১৭৫ জন শ্রমিককে। এঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজন অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা পেরুর স্থানীয় প্রশাসনের।
আরও পড়ুন:Kaliyaganj Incident | কালিয়াগঞ্জে ধর্ষণ ও খুনে রাজনীতির রং চায় না আদালত
যে এলাকায় এই খনিটি ছিল, সেই এলাকার এক প্রশাসনিক কর্তার কথায়, ওই সোনার খনিটি খুবই প্রত্যন্ত অঞ্চলে। সেখানে পৌঁছতে সড়কপথে অনেক সময় লেগে যায়। সেই কারণেই উদ্ধারকাজ শুরু হতেও দেরি হয়েছে। গত বছর পেরুর একাধিক খনিতে দুর্ঘটনা ঘটেছিল। ২০২০ সালে পেরুর আরেকুইপায় একটি খনিতে ধসের ঘটনা ঘটে। ধসে আটকে পড়ে চারজন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছিল। দুর্ঘটনার পর দক্ষিণ পেরুর আরেকুইপা অঞ্চলের সোনার খনিটি ব্যবহারের উপযোগী করতে ৩০ জনের একটি বিশেষজ্ঞ দল খনি অঞ্চলে গেছে বলে খবর।