কাবুল: অন্যের টাকায় তালিবানকে খাইয়ে পরিয়ে লালন-পালন করেছে পাকিস্তান৷ তাদের মদত পেয়েই তালিবান আফগানিস্তানের মাটিতে আবারও মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে৷ এখানে আমেরিকারও ভূমিকা আছে৷ ওয়াশিংটনের একটা ভুল সিদ্ধান্ত আফগানিস্তানকে খাদের কিনারায় এনে ফেলেছে৷ এখন আমেরিকাকেও তাদের ভুলের মাশুল দিতে হচ্ছে৷ গোটা বিশ্ব মার্কিন প্রশাসনের দিকেই আঙুল তুলছে৷ আফগানিস্তানের সাম্প্রতিক সঙ্কট নিয়ে অকপট সেদেশের তদারকি প্রেসিডেন্ট আমেরুল্লাহ সালেহ৷ এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাতকারে আফগানিস্তানের বর্তমান অবস্থা নিয়ে মুখ খোলেন তিনি৷
আরও পড়ুন: গত ১০ দিনে দারুণ কাজ হয়েছে, উদ্ধারবাহিনীকে প্রশংসায় ভরালেন জো বাইডেন
কাবুলের পতনের পরই দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন প্রেসিডেন্ট আসরাফ ঘানি৷ কিন্তু জমি কামড়ে পড়ে আছেন আমেরুল্লাহ সালেহ৷ ‘কসম’ খেয়েছেন আফগানিস্তানকে তালিবানিস্তান হতে দেবেন না৷ কিন্তু আজ সেখানে যা হচ্ছে এর অশনি সঙ্কেত আগেই পেয়ে গিয়েছিলেন সালেহ৷ দু’বছর আগেই বুঝতে পেরেছিলেন এরকম একটা পরিস্থিতি তৈরি হতে চলেছে৷ এজন্য আমেরিকাকে কাঠগড়ায় দাঁড় করান তিনি৷ বলেন, ‘আমেরিকার মত সুপার পাওয়ার যদি ঠিক করে তারা এই পথে চলবে সেখানে আমাদের কিছু বলার থাকে না৷ আমরা তাদের মত বদলাতে পারি না৷ এটা একটা রাজনৈতিক ভুল সিদ্ধান্ত ছিল৷ একটা ভুল সিদ্ধান্তের মাশুল আজ দিচ্ছে তারা৷ গোটা বিশ্বের মিডিয়া আমেরিকার দিকে আঙুল তুলছে৷ তালিবান কোনও যুদ্ধে জয় হয়নি৷ ওয়াশিংটনের রাজনৈতিক বিচক্ষণতার অভাবই জিতে গিয়েছে৷ এখন দর্শকের মত দেখা ছাড়া ওদের আর কিছু করার নেই৷’
আরও পড়ুন: আফগানিস্তান থেকে ভারতে আসা ১৬ জন কোভিড পজিটিভ
আমেরিকার পর তালিবানকে এতটা শক্তি জুগিয়েছে পাকিস্তান৷ সবরকম ভাবে ইসলামাবাদ তাদের সাহায্য করেছে৷ আমেরুল্লাহ জানিয়েছেন, আমেরিকা যে টাকা পাকিস্তানকে পাঠাত তা চলে যেত তালিবানের ঘরে৷ আমেরিকা যত অর্থ দিয়েছে পাকিস্তান ততই দরাজ মনে টাকা ঢেলেছে৷ এখানে দোহারও ভূমিকা ছিল৷ দোহা চেয়েছিল আন্তর্জাতিক মঞ্চ তালিবানকে স্বীকৃতি দিক৷ কিন্তু তালিবান তাদের কথা রাখেনি৷ আন্তর্জাতিক মঞ্চকে বোকা বানিয়েছে৷ দোহার উদ্দেশ্য ছিল, তালিবান ইস্যুতে আন্তর্জাতিক মহলে বিভাজন তৈরি করা৷