ইসলামাবাদ: আল কাদির ট্রাস্ট মামলায় জামিনে ছাড়া পেয়েছেন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Imran Khan)। শুক্রবার ইসলামাবাদ হাইকোর্ট (Islamabad High Court) দুসপ্তাহের জন্য ইমরানের জামিন মঞ্জুর করে। অন্যদিকে, সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Cour t) সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে পাকিস্তানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ (Shehbaz Sharif)। তাদের ‘লাডলা’ ইমরান খানকে ছাড় দিয়েছে। ইমরানের কারণে পাকিস্তানে বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে, তারপরও আদালতের এই সিদ্ধান্তকে দ্বিচারিতা বলেই অ্যাখ্যা পাক প্রধানমন্ত্রীর।
ইমরান খানকে গ্রেফতার করে ন্যাব। এরপরই গোটা দেশে অশান্তির আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ইসলামাবাদ, লাহোর, করাচি, রাওয়ালপিন্ডি, সিন্ধ প্রদেশ, পঞ্জাব সহ একাধিক জায়গায় বিক্ষোভ দেখায় ইমরান খানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফের সমর্থকেরা। ইমরান খানের জন্য এটি বড় স্বস্তিতে, পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট বৃহস্পতিবার তার নাটকীয় গ্রেফতারকে “বেআইনি” এবং “অবৈধ” ঘোষণা করেছে এবং তার আদেশে একটি বেঞ্চের সামনে হাজির করার পরে তার অবিলম্বে মুক্তির আদেশ দিয়েছে। পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বলেছেন, ইমরান খানের সমর্থকরা আইন লঙ্ঘন করেছেন। পিটিআইয়ের সমর্থকরা লুটপাট করেছে, অগ্নিসংযোগ করেছে। দেশজুড়ে সন্ত্রাস ছড়িয়েছে সরকারি সম্পত্তির ক্ষতি করেছে।
ফেডারেল মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফকে পাকিস্তানে জরুরি অবস্থা জারি করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তবে পিডিএম দলের প্রধানদের মধ্যে বৈঠকের পর এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। নওয়াজকে যে অবিচারগুলি সহ্য করতে হয়েছিল, সেই বিষয়ে কেউ কথা বলেননি। এই ধরনের দ্বিচারিতার কারণেই পাকিস্তানে ন্যায় বিচারের মৃত্যু হয়েছে। ইমরানের প্রধানমন্ত্রীর থাকাকালীন শাহবাজ শরিফের দাদা তথা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে গ্রেফতারির পর জামিন না দেওয়ার প্রসঙ্গে মন্তব্য পাক প্রধামন্ত্রীর। শীর্ষ আদালত ও হাইকোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে ক্ষুদ্ধ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ইমরান খানকে দেখে আদালতের খন প্রধান বিচারপতি বলেছেন তোমায় দেখে ভাল লাগল। দুর্নীতির মামলায় এমন কথা বলা হচ্ছে। যদি আপনারা নিজেদের আদরের মানুষের পক্ষই নিতে চান, তাহলে দেশে সমস্ত অপরাদীদের মুক্তি দিয়ে দেওয়া হোক। তিনি আরও বলেন, ইমরানকে বাঁচাতে আদালত ঢাল হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। পাকিস্তান ছাড়া এমন নজির বিশ্বের কোনও দেশে দেখা যায় না।