নয়াদিল্লি: পহেলগাঁওর জঙ্গি হামলার (Pahalgam Attack) পর ভারতের প্রত্যাঘাতের ভয় কাঁপছে পাকিস্তান (Pakistan)। বুধবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত সরকার। এই পরিস্থিতিতে নয়াদিল্লির পদক্ষেপের জবাব দিতে তৎপর হল ইসলামাবাদ। বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের তরফ থেকেও একটি বৈঠক ডাকা হয়েছে। পাক বিদেশমন্ত্রী বৃহস্পতিবার সকালে ভারতের পদক্ষেপের নিন্দা করে বলেছে, ‘‘এমন অকিঞ্চিৎকর বিষয় নিয়ে পাকিস্তান চিন্তিত নয়। ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার ঘোষণা দিয়েছে পাকিস্তান।
জঙ্গি হামলায় ২৭ জন নিরীহ মানুষের মৃত্যুর পর ভারত সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত রাখার ঘোষণা করেছে। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বারতে থাকা পাকিস্তানের বাসিন্দাদের দেশ ছাড়তে বলা হয়েছে। পাকিস্তানের নাগরিকদের ভিসা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে ভারত। এছাড়াও পাকিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক হ্রাস করার মতো বেশ কয়েকটি কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে পাকিস্তান ক্ষুব্ধ। চাপে পড়ে বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ আজ একটি গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা বৈঠক করেছেন। পাকিস্তানের তিন সেনাপ্রধান, গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী, শীর্ষ সামরিক কর্তারা এই উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে ছিলেন। ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে ভারত যদি সিন্ধু চুক্তির অধীনে পাকিস্তানকে জল বন্ধ করে বা দিক পরিবর্তন করার চেষ্টা করে, তাহলে তা যুদ্ধের কাজ হিসেবে বিবেচিত হবে। এর পাশাপাশি, পাকিস্তান ভারতের সমস্ত বিমান সংস্থার জন্য তাঁর আকাশসীমা সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানিয়েছে যে, বৈঠকে পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের মৃত্যুর বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। কিন্তু ভারতের নেওয়া পদক্ষেপগুলিকে একতরফা, অন্যায্য, রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং আইনত ভিত্তিহীন বলে বর্ণনা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্র: আমেরিকার প্রাক্তন গোয়েন্দা আধিকারিক
বিশেষজ্ঞদের মতে, জম্মু-কাশ্মীরের এই হামলা এবং তার প্রতিক্রিয়ায় ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক ফের এক সংকটজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। এদিকে ভারতের পদক্ষেপের পরই পাকিস্তানের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা নিয়ে ভারতীয় এজেন্সিগুলো সতর্ক। আরব সাগরের উপর নিজেদের ক্ষমতা জাহির করার জন্য পাকিস্তান এই মহড়া প্রথম শুরু করেছিল। এই পরীক্ষার উপর কড়া নজর রাখছে দিল্লি। হাই অ্যালার্টে রাখা হয়েছে পাকিস্তানের বায়ুসেনাকে। বৃহস্পতিবার, করাচিতে যখন এই মহড়া চলেছে, সেই সময় পাল্টা নৌসেনা মহড়া চালিয়েছে ভারতও। পাকিস্তান ২৪-২৫ এপ্রিল এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাবে। করাচি উপকূলের অদূরে তাদের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের মধ্যে থেকেই ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালানোর জন্য একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে পাক সরকার। সূত্রের খবর, ভারতের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলি সমস্ত ঘটনার উপর তীক্ষ্ণ নজর রাখছে।
দেখুন ভিডিও