ওয়েবডেস্ক- ফের আরও একবার প্রমাণিত জঙ্গিদের মদতদাতা পাকিস্তান (Pakistan)। লস্কর-ই-তইবার (Lashkar-e-Taiba) সহ প্রতিষ্ঠাতা আমির হামজার (Lashkar-e-Taiba co-founder Amir Hamza) চিকিৎসা চলছে লাহোরের এক সামরিক হাসপাতালে (Lahore Hospital)। নিজের বাড়িতেই আহত হয়েছে এই কুখ্যাত সন্ত্রাসবাদী। কীভাবে আহত তা এখনও স্পষ্ট নয়। তার আহতের কারণ নিয়ে রহস্য দানা বেঁধেছে। রহস্যজনকভাবে তিনি পড়ে গিয়েছেন বলে খবর।
অসমর্থিত সূত্রে খবর, তার উপর হামলা হয়েছে। হামলাকারী কে বা কারা তা এখনও সামনে আসেনি। তেমনিভাবেই হামজার শারীরিক অবস্থা কেমন তাও এখনও কোনও বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়নি। এটি পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির মধ্যে দ্বন্দ্ব বা আন্তর্জাতিক চাপের ফল হতে পারে।
এই মুহূর্তে গুরুতর আহত অবস্থায় পাকিস্তানের লাহোরে একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন লক্সর ই তৈইবার অন্যতম মাথা আমির হামজা। জানা গেছে, নিজের বাড়িতেই আক্রান্ত ভারতের এই লিটলিস্টে থাকা কুখ্যাত জঙ্গি। অপারেশন সিঁন্দুর হয়েছে চলতি মাসের ৭ মে। কয়েক সপ্তাহ পার হতে না হতেই ফের মুখ পুড়ল পাকিস্তানের। আইএসআই-এর নিরাপত্তায় লাহোরের সেনা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে এই হামজাকে।
আরও পড়ুন-নূর খান বেসে ভারতের প্রত্যাঘাত, স্বীকার পাক প্রধানমন্ত্রীর
২০১২ সালে এই আমির হামজাকে জঙ্গির তকমা দিয়েছে আমেরিকা। আমেরিকার ডিপার্টমেন্ট অব ট্রেজারি জানিয়েছে, আমির হামজা ছিল লস্কর-ই-তৈইবার স্পেশাল ক্যাম্পেন সেলের প্রধান।
পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের গুজরানওয়ালা শহরের বাসিন্দা এই কুখ্যাত সন্ত্রাসবাদী। আমির হামজা, হাফিজ সইদ ও আবদুল রহমান মক্কির অন্যতম ঘনিষ্ঠ সহযোগী।
তথ্যসূত্র অনুযায়ী, ২০০০ সাল নাগাদ ভারতে ব্যাপকভাবে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়েছে এই আমির হামজা। ২০০৫ সালে বেঙ্গালুরুতে জঙ্গি হামলাতেই সইফুল্লার সহযোগী ছিল এই হামজা। একের পর এক সন্ত্রাসে নাম জড়িয়ে এই হামজার। ২০১০ সালের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত লস্করের মতবাদ ছড়ানোর দায়িত্ব ছিল এই হামজার উপরেই। লস্করের প্রচারিত পত্রিকাগুলির সম্পাদক হামজা। কখনই থেমে থাকেনি তার কার্যকলাপ।
২০১৮ সালে লস্কর ও জামাত জামাত-উদ-দায়ারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। এর পরেই হামজার নেতৃত্বে গড়ে ওঠে ‘জইশ-ই-মানকাফা’ নামে এক নয়া জঙ্গি সংগঠন। লস্কর-ই-তইবার উপর থেকে চোখ সরাতে মানুষের চোখে ধুলো দিতেই এই সংগঠনের তৈরি করে হামজা।
দেখুন আরও খবর-