নিউ ইয়র্ক : আফগান জনতার স্বার্থে অন্যান্য দেশ গুলির উচিৎ আফগানিস্তানের বর্তমান সরকারের পাশে থাকা। শুক্রবার রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনে এই কথাই বলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তিনি রাষ্ট্রপুঞ্জের কাছে আবেদন করেন যে, অন্যান্য দেশগুলি আফগানিস্তানকে অবহেলা করলে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাবে। তাঁর এই মন্তব্যের ভিত্তিতে ভারত সচিব স্নেহা দুবে পাল্টা জবাব দেন।
ভারত সচিব স্নেহা দুবে বলেন, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ কর্তৃক নিষিদ্ধ সর্বাধিক সংখ্যক সন্ত্রাসবাদীদের আশ্রয় দেওয়ার রেকর্ড রয়েছে পাকিস্তানের দখলে। তিনি জানান যে, পাকিস্তান একটি সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্র এবং সমগ্র বিশ্বের জঙ্গী গোষ্ঠীগুলিকে নিজেদের দেশে আশ্রয় দেয় তার। তাদের লালন-পালন করে এবং প্রয়োজনে অর্থ দিয়েও সাহায্য করে। আগেও দেখা গেছে ওসামা বিন লাদেনকে তারা নিজেদের দেশে আশ্রয় দিয়েছিল। পাকিস্তানের রাজনৈতিক আশ্রয় পেয়ে লাদেন সমগ্র বিশ্বে তার সন্ত্রাসবাদি কার্যকলাপ চালাতে সমর্থ হয়। সেখান থেকেই বিশ্বব্যাপী সংগঠন গড়ে তুলেছিল সে। যার ফলস্বরূপ ৯ / ১১ ঘটনা, যা সারা বিশ্বকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। সম্প্রতি এই সন্ত্রাসবাদি হামলার ২০তম বর্ষ উদযাপন হয়।
আরও পড়ুন : ২২ মাস পর এশিয়ার বাইরে মোদি, শুক্রবার বাইডেনের সঙ্গে হাইভোল্টেজ বৈঠক
স্নেহা আরও জানান, এই ঘটনার মাস্টার মাইন্ড লাদেনকে সাহায্য করার বিষয়টি পাকিস্তান সম্পূর্ণ অস্বীকার করে। এরপর আমেরিকা লাদেনের গোপন ঘাঁটি খুঁজে বের করে তাকে হত্যা করে। লাদেন হত্যার পর পাকিস্তান তাকে শহীদের মর্যাদা দিয়েছিল। শুধু তাই নয়, পাকিস্তান তাদের দেশকে সন্ত্রাসবাদীদের ব্যবহারের জন্য পূর্ণ সুযোগ দিচ্ছে। এই দেশকে ঘাঁটি করে সব বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তিগুলো দ্বারা বিশ্বজুড়ে তারা তাদের সন্ত্রাস চালিয়ে যাচ্ছে। যার ফলস্বরূপ দ্বিতীয়বার আফগানিস্তানে তালিবানের উত্থান। পাকিস্তানের এই আচরণের একটাই উদ্দেশ্য, তা হল প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোতে সন্ত্রাস সৃষ্টি করা। স্নেহা দুবে বলেন, ভারত চায়, পাকিস্তান সহ প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে। ভারত কখনই কোনও ভূখণ্ডকে ভারতের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে দেবে না।