নয়াদিল্লি: বিশ্বজুড়ে ওমিক্রন (Omicron World) আতঙ্ক ক্রমেই বাড়ছে। করোনার নয়া ভ্যারিয়েন্টের হানায় বিপর্যস্ত ব্রিটেন, আমেরিকা-সহ ইউরোপ, এশিয়ার একাধিক দেশ। সংক্রমণ বেড়ে চলায় বিমান চলাচলেও বিধিনিষেধ জারি করেছে অনেক দেশ। এই পরিস্থিতিতে এ বার বিশ্বজুড়ে বাণিজ্যিক এয়ারলাইনগুলি ক্রিসমাস সপ্তাহান্তে প্রায় ৭ হাজার উড়ান বাতিল করল। হাজারের বেশি উড়ান (Omicron World) নির্ধারিত সময়ের থেকে দেরিতে চলছে।
ফ্লাইট-ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট Flightaware.com-এর রিপোর্ট অনুসারে, রবিবার প্রায় দু’হাজার উড়ান বাতিল হয়েছে। এর মধ্যে আমেরিকা থেকে যাত্রা শুরু করার কথা ছিল ৫৭০টিরও বেশি বিমানের। চার হাজারেও বেশি উড়ান দেরিতে চলছে। ক্রিসমাসের দিনে মোট ১৭৭৯টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।
ওমিক্রন আতঙ্কে ক্রিসমাস উইকএন্ডে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রেই যত সংখ্যক ফ্লাইট বাতিল হয়েছে, তা সারা বিশ্বে বাতিল হওয়া মোট ফ্লাইটের এক-চতুর্থাংশের বেশি। এয়ারক্রু এবং গ্রাউন্ড স্টাফরা কোভিড রোগীদের সংস্পর্শে আসার ফলে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বা কোয়ারান্টিনে চলে গিয়েছেন। সে কারণেই বিপুল সংখ্যক বিমান বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে উড়ান সংস্থাগুলি।
আরও পড়ুন: Tejasvi Surya: হিন্দুধর্মত্যাগী মুসলিম-খ্রিস্টানদের ঘরওয়াপসির ডাক বিজেপি সাংসদ তেজস্বীর
লুফথানসা, ডেল্টা, ইউনাইটেড এয়ারলাইন্স, জেটব্লু, আলাস্কা এয়ারলাইন্স সহ সমস্ত সংস্থায় উড়ানে কাটছাঁট করেছে। ডেল্টা এয়ারলাইন্সের এক আধিকারিক বলেন, ‘বড়দিনের ছুটি উপলক্ষে প্রতিবছরই বিপুল যাত্রীর চাপ থাকে। আগের বছর পর্যন্ত আমরা ভালোভাবেই সেই চাপ সামলেছি। কিন্তু এবার যে পরিস্থিতি, তাতে আমরা কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছি না।’
ইউনাইটেড এয়ারলাইন্স এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহে দেশে ওমিক্রনের সংক্রমণ বৃদ্ধিতে ফ্লাইটক্রু এবং বিমান চলাচলের সঙ্গে যুক্ত অন্যান্য ব্যক্তিদের উপর সরাসরি প্রভাব পড়েছে। সেই কারণে কিছু ফ্লাইট বাতিল করতে হয়েছে। রয়টার্সের তথ্য অনুসারে, গত সপ্তাহে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়েছে প্রায় ৪৫ শতাংশ।