কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: করোনার জেরে জর্জরিত উত্তর কোরিয়া। মাত্র তিনদিনেই সেই দেশে আক্রান্ত কয়েক লক্ষ মানুষ। বাড়ছে মৃত্যু সংখ্যাও। গত ২৪ ঘন্টাতেই অজানা জ্বরে মৃত্যু হয়েছে ১৫ জনের। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণা করেছেন কিম।
দু’দিন আগে কোভিডে প্রথম মৃত্যু ঘিরে উত্তর কোরিয়ার সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছিল। ওই দেশের সরকারি সংবাদ মাধ্যম কেসিএনএ জানিয়েছে, রবিবার সকালে জ্বরের প্রকোপে আরও ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। ফলে দেশে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৪২। মাত্র তিনদিনের মধ্যে উত্তর কোরিয়ায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ লক্ষ ২০ হাজার ৬২০ জন। তাঁদের মধ্যে চিকিৎসাধীন অন্তত ৩ লক্ষ ২৪ হাজার ৫৫০ জন। এই পরিস্থিতিকে ‘মহাবিপর্যয়’ বলছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন।
সরকারি সূত্রের খবর, করোনা সংক্রমণ রুখতে ইতিমধ্যে রাজধানী পিয়ং ইয়ং-সহ প্রতিটি প্রদেশ, শহর, নগরে লকডাউন জারি করা হয়েছে। বন্ধ রাখা হয়েছে কল-কারখানা, অফিস-কাছারিও। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দেশজুড়ে জরুরি ভিত্তিতে কোয়ারেন্টাইন পরিষেবা চালু করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাস সংক্রমণের কথা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করে উত্তর কোরিয়া। গোটা বিশ্ব যখন করোনা থাবায় জর্জরিত তখন সর্বাধিনায়ক কিম জং উন দাবি করেছিলেন, তাঁদের দেশে কোনও করোনা রোগীর হদিশ মেলেনি। তবে এতদিন সংক্রমণ থেকে বাঁচলেও শেষরক্ষা হল না। কোভিড আক্রান্তের কথা জানাজানি হতেই দেশজুড়ে কঠোর লকডাউন জারি করেন স্বৈরাচারী কিম।
আরও পড়ুন: Howrah: ডোমজুড়ে শুটআউট, গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু এক দুষ্কৃতীর
উত্তর কোরিয়ায় জনগণের সংখ্যা আড়াই কোটি হলেও সেখানে এতদিন পর্যন্ত কাউকে করোনা টিকা দেওয়া হয়নি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, চিন ও রাশিয়ার তরফে টিকা জোগান দেওয়ার প্রস্তাব দিলেও কিম সরকার সেই প্রস্তাব খারিজ করে দেয়। আর তার জেরেই এই বিপর্যয় বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।