আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাতের ফলে সুনামি (Tsunami), সেই সঙ্গে ভূমিকম্প। এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপরাষ্ট্র টোঙ্গা (Tonga)। তাদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল নিউ জিল্যান্ড। টোঙ্গায় জল সরবরাহ করতে শুক্রবার নিউ জিল্যান্ডের নৌবাহিনীর দুটি জাহাজ পৌঁছবে এই দ্বীপরাষ্ট্রে। গত ১৫ জানুয়ারি প্রশান্ত মহাসাগরের গভীরে একটি আগ্নেয়গিরিতে বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের মাত্রা এতটাই ভয়াবহ ছিল যে সেখান থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে প্রশান্ত মহাসাগরের একটি দ্বীপরাষ্ট্র টোঙ্গায় সুনামি হয়। একই সঙ্গে সেখানে ভূমিকম্প হয়। রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল ৭.৪।
স্বেচ্ছাসেবক সংস্থা রেড ক্রসের আধিকারিক কেটি গ্রিনউড জানান, সুনামি হওয়ার কারণে টোঙ্গায় এখন কলেরা কিংবা ডায়েরিয়ার মতো রোগের ঝুঁকি রয়েছে। যে কারণে এখন টোঙ্গার বাসিন্দাদের দরকার পরিস্রুত পানীয়জল। নিউ জিল্যান্ডের বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, আওতারোয়া এবং ওয়েলিংটন নামে দু’টি জাহাজকে সাহায্যের অনুমতি দিয়েছে টোঙ্গা সরকার। আওতারোয়ার ক্যাপ্টেন সাইমন গ্রিফিথস জানান, তাঁর জাহাজ প্রায় ২ লক্ষ ৫০ হাজার লিটার জল বহন করছে। সেই সঙ্গে অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। নিউ জিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া থেকে বিমানে করে টোঙ্গায় ত্রাণ সামগ্রী পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন : Tsunami: আগ্নেয়গিরির ভয়াবহ অগ্ন্যুৎপাতে সুনামি টোঙ্গায়
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন জানান, টোঙ্গা থেকে অনুমতি এলে দুটি হারকিউলিস বিমান ত্রাণের সামগ্রী এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার সরঞ্জাম নিয়ে টোঙ্গার উদ্দেশে রওনা দেবে। জরুরি পরিষেবার পাশাপাশি টোঙ্গাকে আর্থিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে নিউ জিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া। ইউএস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট এক লক্ষ ডলার অনুমোদন দিচ্ছে। এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক টোঙ্গা সরকারের সঙ্গে বৈঠক করে ১ কোটি ডলারের একটি জরুরি তহবিলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। জাতিপুঞ্জ সহ বেশ কয়েকটি দেশ সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছে। টোঙ্গার বিমানবন্দরে বিমান চলাচল স্বাভাবিক হলে তাদের জল ও খাদ্য সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সরবরাহ করবে বলে জানিয়েছে চীন। টোঙ্গার বিদ্যুৎ সরবরাহ পুনরুদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে নিউ জিল্যান্ড সরকার। এখন সেখানে ত্রাণ বিলির কাজ শুরু হয়েছে।