ওয়েব ডেক্স: ইজরায়েলের বিরুদ্ধে হামলা জারি রেখেছে ইরান। নেতানিয়াহুর দেশের শহরগুলি মাঝেমধ্যেই কেঁপে উঠছে বিস্ফোরণের শব্দে। প্রতিটি হামলা চ্যালেঞ্জ করেছে দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে। ইজরায়েলি সামরিক বাহিনী (আইডিএফ) হামলার ঘটনায় সিলমোহর দিয়েছে। বুদ্ধিজীবীদের মতে, এই হামলা মধ্যপ্রাচ্যকে সরগরম করে তুলবে। সংঘাত শুরু হবে নতুন নতুন দেশে।
একের পর এক ইরানি হামলায় জেরবার হয়ে ইজরায়েলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছেন নেতানিয়াহু। প্রতিশোধের হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইজরায়েল। আইডিএফ-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা ইরানের মিসাইলগুলিকে প্রতিহত করতে সক্ষম হলেও বেশ ক্ষতির শিকার হয়েছে ইজরায়েলের। ইজরায়েলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জানান, এ ধরনের হামলা ইজরায়েলের নিরাপত্তা পরিস্থিতির জন্য একটি বড় হুমকি। এই পরিস্থিতিতে দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাক্র আরও শক্তিশালী করছে নেতানিয়াহুর সরকার।
আরও পড়ুন: নতুন বছরে শীতের ব্যাটিং! জুবুথুবু ঠান্ডায় বৃষ্টির পূর্বাভাস জেলায় জেলায়!
বিশ্বজুড়ে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এই হামলার ফলে মধ্যেপ্রাচ্যে ঘনিয়ে আসছে যুদ্ধের কালো মেঘ। ইরান এবং ইজরায়েলের মধ্যে দীর্ঘদিনের শত্রুতা চলছে, এবং এই হামলা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে। ইরান ও ইজরায়েলে মধ্যে উত্তেজনা জারি। একে অপরের মধ্যে জটিল থেকে জটিলতর হয়ে চলছে দুই দেশের সম্পর্ক.। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের ধারণা, হামলার ফলে ইজরায়েলকে আরও দৃঢ় প্রতিরোধে ব্যবস্থা অরজন করতে হবে। অন্যদিকে, ইরানও আন্তর্জাতি মহলে সমর্থনের জন্য চেষ্টা করে চলছে।
ইরানের দাবি, তারা ইজরায়েলের বিরুদ্ধে সফল হামলা গড়ে তুলেছে। ইরানের প্রায় ৫৩ মিলিয়ন ডলারের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। তবে, ইজরায়েলি ক্ষয়ক্ষতির কথা অস্বীকার করেছেন। তারা জানিয়েছেন, হামলার ফলে তাদের বড় কোনও ক্ষয়জক্ষতির নজির মেলেনি। ইজরায়েলের সামরিক বাহিনীর মতে, তারা ইরানের মিসাইগুলিকে প্রতিরোধ করতে সক্ষম হয়েছে এবং ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক মহল ইরান এবং ইজরায়েলের মধ্যে উত্তেজনা কমানোর জন্য তৎপর। দুই দেশের মধ্যে শান্তিপূর্ণ সমাধান এবং সংলাপের মাধ্যমে এই সংকট সমাধানের আহ্বান জানিয়েছে তারা। মধ্যপ্রাচ্যের এই অংশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে ইরান এবং ইজরায়েলের মধ্যে আলোচনার গুরুত্ব আরও বাড়ছে। এই পরিস্থিতি ভবিষ্যতে কি ধরনের পরিণতি নিয়ে আসবে? তা আপাতত অজানা।
দেখুন আরও খবর: