ওয়েব ডেস্ক: গত শুক্রবার থেকেই সামরিক সংঘাতে মুখোমুখি ইজরায়েল ও ইরান (Israel-Iran War)। এক সপ্তাহ ধরে দুই দেশই আকাশপথে একে অপরের উপর মিসাইল হামলা চালিয়েছে। তেহরান থেকে তেল আভিভ- অশান্তির আগুনে জ্বলছে দুই দেশের রাজধানীই। এর মাঝে আবার ইরানে হামলা চালিয়ে তিনটি পরমাণু ঘাঁটি উড়িয়ে দিয়েছে আমেরিকা (USA)।
এরইমধ্যে , এবার ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থার তরফে জানা গিয়েছে, রবিবার ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় মার্কিন ও ইজরায়েলি হামলার পর উত্তেজনা শান্ত করতে নয়া সিদ্ধান্ত। আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক দলগুলির সাথে নিয়মিত যোগাযোগের জন্য একটি মন্ত্রী পর্যায়ের যোগাযোগ দল গঠন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: অনেক দেশই ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র দিতে প্রস্তুত, রাশিয়ার মন্তব্যে হইচই
ইস্তাম্বুলে ৫৭ সদস্যের এই গ্রুপের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকের পর এক যৌথ ঘোষণায়, ওআইসি ইরানের বিরুদ্ধে ইজরায়েলের হামলার নিন্দা করেছে। ইজরায়েলি আক্রমণ বন্ধ করার জরুরি প্রয়োজন বলে মনে করা হয়েছে. অন্যদিকে, দিন দিন হামলার মাত্রা বৃদ্ধির বিষয়ে তাদের গভীর উদ্বেগের উপর জোর দিয়েছে বলেই সূত্রের খবর। এটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ইরানের উপর হামলার বিরুদ্ধে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে। ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত বৈঠকের যৌথ ঘোষণাপত্রে রাতারাতি মার্কিন হামলার কথা উল্লেখ না করলেও, ইজরায়েল-ইরান সংঘাতের উপর ১৩ ধারার একটি পৃথক প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে। যেখানে তারা ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলিতে ইজরায়েলি এবং মার্কিন দুই ধরণের হামলারই নিন্দা করেছে ।এটি আন্তর্জাতিক পারমানবিক শক্তি সংস্থাকে স্পষ্টতই এই হামলার নিন্দা জানাতে এবং নিরাপত্তা পরিষদে এই হামলার প্রতিবেদন জমা করার কথা জানিয়েছে। প্রস্তাবের খসড়া অনুসারে, এই হামলা আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে।পাশাপাশি জানা গিয়েছে, ওআইসি ইজরায়েলকে অবিলম্বে পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তিতে যোগদানের এবং তার সমস্ত পারমাণবিক স্থাপনা এবং কার্যক্রমকে আইএইএ-এর ব্যাপক সুরক্ষার আওতায় আনার কথাও জানিয়েছে।
দেখুন অন্য খবর