ওয়েব ডেস্ক: রাতভর চলল সেনার অভিযান। কিন্তু এখনও বালোচিস্তান লিবারেশন আর্মির (Balochistan Liberation Army) হাতে হাইজ্যাক (Pakistan Train Hijack) হওয়া জাফর এক্সপ্রেসে (Jaffar Express) আটকে বহু যাত্রী। পাকিস্তানের ট্রেন অপহরণের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত উদ্ধার (Recovered) করা হয়েছে ১০৪ জন পণবন্দিকে (Hostage)। সূত্রের খবর, অপহৃত ট্রেন থেকে যাত্রীদের মুক্ত করতে গিয়ে সেনাবাহিনীর সঙ্গে তীব্র সংঘর্ষ বাঁধে বিদ্রোহী বাহিনীর। এর ফলে এখনও পর্যন্ত অন্তত ১৬ জন বিদ্রোহী নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী।
মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে কোয়েটা থেকে পেশোয়ারগামী জাফর এক্সপ্রেস ট্রেনটিকে কাচ্চি বোলান জেলার পেহরো কুনরি এবং গাদালার মধ্যবর্তী এলাকায় আটকে দেয় স্বাধীনতাপন্থী বিদ্রোহী গোষ্ঠী বিএলএ। ট্রেনটিতে প্রায় ৫০০ জন যাত্রী ছিলেন। তাঁদের মধ্যে শতাধিক যাত্রীকে পণবন্দি করা হয়। ঘটনার দায় স্বীকার করে বিদ্রোহীরা বিবৃতি দিয়ে জানায়, যাত্রীদের মুক্তির শর্ত হিসেবে তাদের রাজনৈতিক দাবি মানতে হবে।
আরও পড়ুন: নজরবন্দি হলেন বাংলাদেশের লেফটেন্যান্ট জেনারেল, কিন্তু কেন?
খবর পেয়েই পাকিস্তানের সেনা ও আধাসামরিক বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। অভিযানে অংশ নেয় স্পেশাল সার্ভিস গ্রুপ-এর কমান্ডো বাহিনীও। বিদ্রোহীদের সঙ্গে আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার পরই অভিযানে নামে পাক সেনা। পরিস্থিতি জটিল করে তোলে বিদ্রোহীদের রণকৌশল। তারা সেনাবাহিনীকে রুখতে রেললাইনের একাংশ উড়িয়ে দেয় এবং শেষমেষ পণবন্দিদের মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
Army Aggression Continues, No Seriousness on Prisoner Exchange – 10 More Hostages to Be Eliminated – BLA
The occupying Pakistani army has once again demonstrated irresponsible and foolish military aggression against the Baloch Liberation Army freedom fighters by launching… pic.twitter.com/soPUHwGupM
— Bahot | باہوٹ (@bahot_baluch) March 11, 2025
তারপরেই শুরু হয় দু’পক্ষের গুলির লড়াই। দীর্ঘ সংঘর্ষের পর বুধবার সকালে সেনা বাহিনী অন্তত ১০৪ জন যাত্রীকে মুক্ত করেছে বলে খবর। উদ্ধার হওয়া যাত্রীদের মধ্যে ৫৮ জন পুরুষ, ৩১ জন নারী এবং ১৫ জন শিশু রয়েছে। আহত অন্তত ১৭ জনকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন সেনা ও আধাসামরিক বাহিনীর সদস্য বিদ্রোহীদের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন। তবে পাক সেনার দাবি, অভিযানে ১৬ জন বিদ্রোহী নিহত হয়েছে এবং বাকিদের খুঁজে বের করতে এখনও অভিযান চলছে।
দেখুন আরও খবর: