মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র: সাড়ে চারশো কোটি বছর ধরে পৃথিবীর সঙ্গী চাঁদ( Moon)। অনেকেই বিশ্বাস করেন চন্দ্রের সৃষ্টি রহস্য লুকিয়ে আছে পৃথিবীর মধ্যেই, অথচ সেই চাঁদই ডেকে আনছে পৃথিবীর বিপদ(Earth)। সম্প্রতি নাসার গবেষণায় উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য, মহাশূন্যে নীলগ্রহকে প্রদক্ষিণের সময় কক্ষপথে ‘টলমল’ করছে উপগ্রহটি( Moon)। মাত্র ১০ বছরের মধ্যেই চাঁদের ‘খামখেয়ালি’ ডেকে আনতে চলেছে ভয়ঙ্কর বন্যা। বিশ্ব উষ্ণায়ণের কারণে সমুদ্রের জলস্তর বাড়তে শুরু করেছে। বিজ্ঞানীদের অনুমান, চাঁদের ‘খামখেয়ালি চলনে’ ২০৩০ সালের মধ্যে মহাসমুদ্রের সেই জলস্তর স্বাভাবিকের তুলনায় আরও ফুলে ফেঁপে উঠবে। নাসার অ্যাডমিনিস্ট্রেটর বিল নেলসন ‘নেচার ক্লাইমেট চেঞ্জ’-এ তাঁর গবেষণাপত্রটি প্রকাশ করে আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বিহারে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহপৃথিবীকে (Earth)প্রদক্ষিণ করার সময় সামান্য ঝুঁকে পড়ছে চাঁদ।( Moon) নির্দিষ্ট সময় অন্তর ঝুঁকে থাকা অবস্থায় “টলমল পায়ে হাঁটছে” । আর তাতেই যত বিপত্তির সৃষ্টি হয়েছে। পৃথিবীকে(Earth) প্রদক্ষিণের সময় সাড়ে ১৮ বছর অন্তর চাঁদের এমন অবস্থা হয়। মহাসমুদ্রে ভাটার চেয়ে জোয়ারের প্রবল্য বাড়তে থাকে। পরবর্তী ১৮ বছর ঠিক তার উল্টো অবস্থা হয়। চাঁদ কক্ষপথে এখন যে পর্যায়ে রয়েছে তাতে পৃথিবীর সব সমুদ্র (SEA), মহাসাগরে ভাটার পরিমাণ ও প্রাবল্য একটু বেশি জোয়ারের চেয়ে। কিন্তু সেই অবস্থা বদলাবে এই শতাব্দীর তৃতীয় দশকের মধ্যেই। সমুদ্রে(SEA) জলস্তর বৃদ্ধি পেলে বিপর্যস্ত হবে উপকূলের বাসিন্দাদের জীবনযাপন। সবচেয়ে ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপকূল। চাঁদের মহাকর্ষ বল পরিবর্তন করবে জলবায়ুর। বাড়তে পারে ঝড়-বৃষ্টির পরিমান। বিজ্ঞানী বিল নেলসন জানিয়েছেন, উদ্ভুত পরিস্থিতিতে সচেতন হতে হবে মানুষকেই। পরিবেশ ও জলবায়ুর দূষণ কমলে ক্ষতির সম্ভাবনা কমবে। তবে বন্যা, জলোচ্ছাস নিয়ন্ত্রণ করা আদৌ কী মানুষের পক্ষে সম্ভব, সেই প্রশ্নেই দ্বিধা বিভক্ত বিজ্ঞানীরা।