ঢাকা: বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারত সফরের আমন্ত্রণপত্র পৌঁছে দিতে সংক্ষিপ্ত সফরে ঢাকায় পৌঁছেছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। বৃহস্পতিবার দুপুর ২টোর পর ভারতীয় বিমানবাহিনীর একটি বিশেষ উড়ানে ঢাকার কুর্মিটোলা বিমানঘাঁটি বঙ্গবন্ধুতে নামেন তিনি। সেখানে ভারতের বিদেশমন্ত্রীকে স্বাগত জানান বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০২১ সালের মার্চে বাংলাদেশ সফরে এসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারত সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। এখন আনুষ্ঠানিকভাবে সেই সফরের আমন্ত্রণপত্র পৌঁছে দিতেই জয়শঙ্করের ঢাকা সফর।
এদিনই বিকাল ৪টেয় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করবেন জয়শঙ্কর। এরপর বিকাল ৫টায় ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে মোমেনের সঙ্গে তাঁর বৈঠক হবে। মোমেন এর আগে জানিয়েছিলেন, দুই দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সেখানে আলোচনা হবে। তার মধ্যে অন্যতম হল তিস্তার জলবণ্টন, সীমান্তে পাচার, দুদেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক, যোগাযোগসহ বিভিন্ন বিষয় আলোচনায় গুরুত্ব পাবে। ঢাকার বিদেশ মন্ত্রকের কর্তারা জানিয়েছেন, জুনের শেষে বা জুলাইয়ের শুরুতে শেখ হাসিনার ভারত সফর হতে পারে। যদিও দিনক্ষণ এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
আরও পড়ুন:Visva-Bharati University: জাত নিয়ে ছাত্রকে কটূক্তি, অধ্যাপক সুমিত বসুকে সাসপেন্ড করল বিশ্বভারতী
এর আগে ২০১৯ সালের অক্টোবরে ভারত সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মুজিব শতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ২০২১ সালের মার্চে বাংলাদেশ সফর করেন মোদি। এরপর একই আয়োজনের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ ডিসেম্বরে বাংলাদেশ সফর করেন।
আসন্ন বর্ষায় হাসিনার ভারত সফরের দিকে তাকিয়ে রয়েছে আপামর পশ্চিমবঙ্গবাসী। কারণ, মোদি-হাসিনার বৈঠকের অন্যতম বিষয় হবে তিস্তা জলবণ্টন চুক্তি। এই তিস্তা জলচুক্তির কারণেই এপার বাংলায় ইলিশ রফতানি বন্ধ রেখেছে বাংলাদেশ। গতবছর পুজোর সময় সামান্য পরিমাণে পদ্মার রুপোলি ফসল এলেও আমবাঙালির পাত থেকে ইলিশ অধরাই থেকে গিয়েছে।
হাসিনার এই ভারত সফরের মধ্যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও সাক্ষাৎ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ, প্রতিবারই হাসিনা ভারতে এলে মমতার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। প্রতিবারই মমতার জন্য বাংলাদেশ থেকে নানান উপহারও নিয়ে আসেন হাসিনা।