প্রতীক্ষার অবসান। অবশেষে খোঁজ মিলল নিরুদ্দেশ হয়ে যাওয়া রুশ বিমান অ্যান্তোনভের। সন্ধান পাওয়া গিয়েছে বিমানে থাকা যাত্রীদের। তাঁরা প্রত্যেকেই বেঁচে রয়েছেন। রাডারেও ধরা পড়ে বিমানটির অবতরনের কেন্দ্র। দিনভর বহু জল্পনার পর এমনটাই জানানো হয় রাশিয়ার জরুরি মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে। আর এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই স্বস্তির নি:শ্বাস ফেলেছে রাশিয়া।
শুক্রবার মাত্র ১৩ জন যাত্রী নিয়ে রাশিয়া থেকে সার্বিয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছিল অ্যান্তোনভ এন-২৮ বিমানটি। কিন্তু রাশিয়ার আকাশ সীমা পেরিয়ে সার্বিয়ায় প্রবেশ করতেই ঘটে বিপত্তি। সংবাদবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সার্বিয়ার টোমস্ক অঞ্চলের কাছেই এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় বিমানটির। তারপর দীর্ঘক্ষণ যোগাযোগের চেষ্টা করলেও খোঁজ মেলেনি বিমানটির। ধরা পড়েনি রাডারেও।
আরও পড়ুন: কোভিডে ভিড় এড়াতে বাড়ছে মেট্রো সংখ্যা
রুশ প্রশাসন সূত্রে খবর, যে স্থান থেকে বিমানটির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়, তার থেকে মাত্র ১০ কিমি দূরেই ছিল পালান বিমানবন্দর। সেখানেই জরুরি অবতরনের জন্য তোড়জোর করছিল বিমানটি।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি রুশ সাগরে দূর্ঘটনা ঘটে একটি রাশিয়ান বিমানের। সেই বিমানে ছিল ২৮ জন যাত্রী। সেই ঘটনায় তোলপাড় পড়েছিল রাশিয়ার সংবাদমাধ্যমে। বিমানটিতে ২৮ জন যাত্রীর মধ্যে ৬ জন বিমানের ক্র এবং ২ জন শিশুও ছিল।
আরও পড়ুন: গ্রামে ঢুকতে বাধা, বীরভূমে জেলাশাসকের কাছে নালিশ জানাল বিজেপি
এই প্রথম নয়, এর আগেও একাধিক বার মাঝ আকাশে বিমান নিরুদ্দেশ কিংবা দূর্ঘটনার ঘটনা ঘটে। ২০১৩ সালে ইউক্রেনের আকাশে দূর্ঘটনগ্রস্ত হয়ে ভেঙে পড়ে যাত্রীবাহী রাশিয়ান বিমান। সেইসময় ক্রিমিয়ার অধিগ্রহণ নিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে রীতিমতো সামরিক সংঘাতে লিপ্ত ছিল ইউক্রেন। ‘ওয়ার জোনের’ সেই ভয়াবহ বিমান দূর্ঘটনা নজর কেড়েছিল গোটা বিশ্বের। এছাড়াও সেই বছরই সিঙ্গাপুরে মালেশিয়া এয়ারলাইন্সও রহস্যজনকভাবে নিরুদ্দেশ হয়। সেই রহস্যের উন্মোচন আজও হয়নি।
বিগত কয়েক বছরে একাধিক রুশ বিমানের দূর্ঘটনা কিংবা নিরুদ্দেশের ঘটনায় টনক নড়ে আন্তর্জাতিক সিভিল অ্যাভিয়েশন অর্গানাইজেশনের। যাত্রী নিরাপত্তার প্রশ্নে রাশিয়ার বিমান সংস্থাগুলিকে কাঠগড়ায় তোলে তারা। তারপরেও পরিস্থিতির যে কোনও পরিবর্তন হয়নি বলেই মনে করছে ওয়াকিবহালমহল।