কাবুল: আফগান (Afghanistan) মাটি সন্ত্রাসের জন্য ব্যবহৃত হবে না। প্রতিবেশী দেশগুলিকে আশ্বস্ত করা হচ্ছে, আমাদের মাটি ব্যবহার করে তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদী কাজকর্ম সংগঠিত হবে না। কাবুল দখলের পর প্রথম সাংবাদিক সম্মেলনে এই দাবি করলেন তালিবান (Taliban) মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ।
ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে অধিকাংশ সদস্য দেশ জানিয়েছে, আফগানিস্তানের মাটি ব্যবহার করে যাতে আল-কায়দা, আইএসের মতো জঙ্গি সংগঠনের বাড়বাড়ন্ত না হয়, তা তালিবানকে নিশ্চিত করতে হবে। চীন এবং রাশিয়া ছাড়া বাকি প্রায় সব দেশই তালিবানের প্রতি কঠোর মনোভাব নিয়েছে।
আরও পড়ুন: আফগানদের পাশে ভারত, সমস্ত রকম সাহায্যের নির্দেশ মোদির
আফগানিস্তানে (Afghanistan) শান্তি স্থাপনই তাদের লক্ষ্য, একথা স্পষ্ট করে দিয়েছেন তালিবান মুখপাত্র। আমেরিকা সহ বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলির বিরুদ্ধে বদলা নেওয়ার কথা ভাবছে না তালিবানরা। আপাতত শান্তি স্থাপনই তাদের মূল উদ্দেশ্যে। যেন তালিবানের মুখেও ‘বদলা নয়, বদল চাই’-এর স্লোগান। জাবিউল্লাহ কথায়, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ সরকার চাইছি৷ আমরা আর কোনও প্রকার অশান্তি চাই না৷’
তালিবানরা কাবুল দখল করার পর পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের গলায় তালিবানদের সমর্থনের সুর শোনা গিয়েছে। অনেকেই আশঙ্কা করছেন, এর পর আফগানিস্তানের ভূমি ব্যবহার করে বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলির বিরুদ্ধে জঙ্গি কার্যকলাপ শুরু হবে। আফগান সীমানা দিয়ে অবাধে জঙ্গি অনুপ্রবেশ চলছে, অস্ত্র পাচারও হচ্ছে, এমন খবর প্রকাশ্যের এসেছে।
আফগানিস্তানের ভূমি ব্যবহার করে জঙ্গি কার্যকলাপ বরদাস্ত করবে না তালিবানরা। তালিবান মুখপাত্র জানিয়েছেন, দেশের সমস্ত সীমান্ত তাদের দখলে৷ তাই অস্ত্র পাচার অভিযোগ ভিত্তিহীন৷ প্রতিবেশী দেশগুলিকে আশ্বস্ত করা হচ্ছে, আমাদের মাটিকে তাদের বিরুদ্ধে অপব্যবহার করতে দেওয়া হবে না।
আরও পড়ুন: ‘বদলা নয়, বদল চাই’, আফগানিস্তান দখলের পর বলছে তালিবান
গত রবিবার আফগানিস্তান দখল করে তালিবানরা। তারপর দেশ জুড়ে শুরু হয়েছে চরম অরাজগতা। আতঙ্কে আফগানিস্তান ছাড়ছেন হাজার হাজার মানুষ। পালাতে গিয়ে তালিবানের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন অনেকে। দেশজুড়ে যখন চরম অরাজকতা, তখনই সাংবাদিক বৈঠক করে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে তালিবানরা। ঘানি সরকারের অপদার্থের কারণেই দেশে লুঠতরাজ, সাময়িক অশান্তি চলছে। কড়া হাতে তা দমন করা হবে। বার্তা দিয়েছে তালিবানরা।
জাবিউল্লাহ মুজাহিদের দাবি, এতদিন যে সব বিদেশি শক্তি তালিবানদের উপর ‘হামলা’ চালিয়েছে, তাদেরকে ক্ষমা করে দেওয়া হয়েছে। সংবাদিক বৈঠকে তালিবানদের তরফে ‘আশ্বাস’ দেওয়া হয়েছে, প্রতিটি বিদেশি দূতাবাসকে সুরক্ষিত রাখার ব্যবস্থা করা হবে। আফগানিস্তানে আটকে থাকা বিদেশি নাগরিকদের প্রতিও সহানুভূতির সুর শোনা গিয়েছে তাদের গলায়। জাবিউল্লাহ কথায়, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ সরকার চাইছি৷ আমরা আর কোনও প্রকার অশান্তি চাই না৷’