ওয়েব ডেস্ক: শুক্রবার সকালেই ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ (Operation Rising Lion) শুরু করে ইজরায়েল (Israel)। আকাশপথে ইরানের (Iran) উপর হামলা শুরু করে নেতানিয়াহুর সেনা। রাজধানী তেহরান সহ সংলগ্ন একাধিক এলাকায় অবস্থিত ইরানি সেনার সামরিকা ঘাঁটি এবং পরমাণু কেন্দ্রে মিসাইল হামলা চালানো হয় বলে জানা গিয়েছে। আর তাতেই মৃত্যু হয়েছে ইরান সেনার চিফ অফ স্টাফ মহম্মদ বাঘেরি, রেভোলিউশনারি গার্ডসের কমান্ডার হোসেন সালামি এবং ইরানের এমার্জেন্সি কমান্ডের কমান্ডারের।
ফের যুদ্ধের সাইরেন শোনা যাচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যে (Middle East), যা নিয়ে বিশ্বজুড়ে বাড়ছে উদ্বেগ। তাই এই যুদ্ধে আমেরিকার (USA) অবস্থান কী হবে, তা নিয়ে চলছিল জল্পনা। তবে মার্কিন প্রশাসনের তরফে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, ইজরায়েল-ইরান সংঘাতে আমেরিকা জড়িত নয়। এক বিবৃতিতে মার্কিন বিদেশসচিব মার্কো রুবিয়ো (Marco Rubio) বলেন, “ইরানের বিরুদ্ধে ইজরায়েল যে হামলা চালিয়েছে, আমরা তার সঙ্গে যুক্ত নই। আমাদের এখন লক্ষ্য হল ওই অঞ্চলে মার্কিন সেনাবাহিনীকে সুরক্ষিত রাখা।”
আরও পড়ুন: ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা ইজরায়েলের! আকাশপথে শুরু হামলা
সেই বিবৃতিতে আমেরিকার বিদেসসচিব রুবিয়ো আরও জানান, “ইজরায়েল আমাদের জানিয়েছে যে, তারা বিশ্বাস করে আত্মরক্ষার স্বার্থে এই বিমানহানা জরুরি ছিল।” তবে এই অবস্থায় মার্কিন সেনার সুরক্ষার বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দেন তিনি। রুবিয়ো জানান, “আমাদের বাহিনীকে রক্ষা করতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং তাঁর প্রশাসন সব ধরনের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে।”
প্রসঙ্গত, শুক্রবার ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু (Benjamin Netanyahu)। এদিন তিনি এও জানিয়ে দেন যে, দুই দেশের এই যুদ্ধ কঠিন হতে চলেছে এবং এই ঘাত-প্রত্যাঘাত অনেকদিন চলবে। নেতানিয়াহু একইসঙ্গে এই যুদ্ধের কারণ উল্লেখ করে বলেন, ইরানের বিপদ থেকে ইজরায়েলকে বাঁচাতেই হামলা চালিয়েছে ইহুদি সেনা। তবে শুধু আক্রমণ নয়, ইরানের প্রত্যাঘাত সামাল দিতেও একাধিক বড় পদক্ষেপ নিয়েছে নেতানিয়াহু প্রশাসন।
দেখুন আরও খবর: