ওয়েব ডেস্ক: গত শুক্রবার থেকেই সামরিক সংঘাতে মুখোমুখি ইজরায়েল ও ইরান (Israel-Iran War)। এক সপ্তাহ ধরে দুই দেশই আকাশপথে একে অপরের উপর মিসাইল হামলা চালিয়েছে। তেহরান থেকে তেল আভিভ- অশান্তির আগুনে জ্বলছে দুই দেশের রাজধানীই। এর মাঝে আবার ইরানে হামলা চালিয়ে তিনটি পরমাণু ঘাঁটি উড়িয়ে দিয়েছে আমেরিকা (USA)। এবার আমেরিকার উপর কি পাল্টা প্রত্যাঘাত করবে ইরান? মার্কিন মুলুকে এই নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ। তবে দেশবাসীর উদ্বেগকে প্রশমিত করতে আগেভাগে সতর্ক হল ট্রাম্প প্রশাসন।
রবিবার ট্রাম্পের (Donald Trump) ভাষণের পরেই নিউ ইয়র্ক, ওয়াশিংটন-সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ শহরে নিরাপত্তা জোরদার (High Alert) করেছে স্থানীয় প্রশাসন। দেশের বিভিন্ন ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক এবং কূটনৈতিক স্থানেও বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা। মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত বাহিনী। দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখছে মার্কিন গোয়েন্দা বিভাগ।
আরও পড়ুন: “ইতিহাস মনে রাখবে,” ট্রাম্পের প্রশংসায় আর কী বললেন নেতানিয়াহু?
উল্লেখ্য, রবিবার ভোরে ইরানের ফরডো, ইসফাহান এবং নাতানজ পরমাণুকেন্দ্র লক্ষ্য করে হামলা চালায় মার্কিন সেনা। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্পষ্ট জানান, এই হামলার মূল উদ্দেশ্য ছিল ইরানের পরমাণু সক্ষমতাকে নষ্ট করা। তাঁর ভাষায়, “ইরান সন্ত্রাসবাদের এক নম্বর পৃষ্ঠপোষক দেশ। বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে ওদের জন্যই। সেই আতঙ্কের অবসান ঘটাতেই এই পদক্ষেপ।”
We’re tracking the situation unfolding in Iran. Out of an abundance of caution, we’re deploying additional resources to religious, cultural, and diplomatic sites across NYC and coordinating with our federal partners. We’ll continue to monitor for any potential impact to NYC.
— NYPD NEWS (@NYPDnews) June 22, 2025
এই হানার পর থেকেই প্রশ্ন উঠছে— কী পদক্ষেপ নেবে ইরান? আপাতত তেহরানের তরফে কোনও সরকারি প্রতিক্রিয়া না মিললেও আগেই তারা হুঁশিয়ারি দিয়েছিল— আত্মসমর্পণ নয়, আমেরিকার চোখে চোখ রেখে জবাব দেবে তারা। ফলে জল্পনা তুঙ্গে, ইরান কি এবার পাল্টা হামলায় নামবে? বিশেষজ্ঞদের মতে, ইরান সরাসরি হামলা চালাক বা না চালাক, তাদের সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলি বিভিন্ন মার্কিন স্বার্থের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে। তবে সেই আশঙ্কা তৈরি হতেই সতর্ক হয়েছে মার্কিন প্রশাসন।
দেখুন আরও খবর: