ডাকা: প্রেসিডেন্ট পদের জন্য আর নির্বাচনে লড়বেন না, জানিয়ে দিলেন সেনেগালের (Senegal) প্রেসিডেন্ট ম্যাকি সাল (Macky Sall)। পশ্চিম আফ্রিকার দেশটি প্রায় বছর দুয়েক ধরে এই ইস্যুতে উত্তপ্ত হয়ে ছিল। জল্পনা চলছিল, সাল হয়তো তৃতীয়বারের জন্য প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হতে চলেছেন। এই নিয়েই অস্থিরতার সৃষ্টি হয়েছিল দেশে, এমনকী হিংসার জেরে মৃত্যু হয়েছিল বেশ কিছু মানুষের। তবে সমস্ত জল্পনা থামিয়ে সাল ঘোষণা করে দিলেন, এই টার্মই শেষ, নির্বাচনে আর লড়বেন না তিনি।
২০১৯ সালে নির্বাচনে জিতে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসেছিলেন সাল। ২০২৪ সালে ফের সেনেগালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন (President Electuion)। তা নিয়ে সাল বললেন, “পরের নির্বাচনে আমার প্রার্থী হওয়া নিয়ে নানা কথা, নানা জল্পনা ছড়িয়েছে। ২০১৯ আমার দ্বিতীয় টার্ম ছিল এবং এটাই শেষ।” তিনি আরও বলেন, “আমি ভেবেচিন্তে বিবেচনা করেছি, ২০২৪-এর ২৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের প্রার্থী হব না, যদিও দেশের সংবিধান আমাকে সেই অধিকার দেয়।” প্রেসিডেন্ট সালের এই ঘোষণা দেশের অস্থিরতার পরিস্থিতি শান্ত করবে বলে আশা করা যায়।
আরও পড়ুন: SCO Summit | মোদির পৌরোহিত্যে বসছে এসসিও শীর্ষ সম্মেলন, কথা হবে জিনপিং, পুতিনের সঙ্গেও
অনেকেই আশঙ্কা করেছিলেন, আইভরি কোস্ট (Ivory Coast) এবং টোগোর (Togo) রাষ্ট্রনেতাদের মতো সংবিধানে হস্তক্ষেপ করে নিজের শাসনকাল বাড়িয়ে নিতে পারেন সাল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। সালের এই সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেছেন নাইজারের প্রেসিডেন্ট মোহামেদ বাজুম, গিনি-বিসাউয়ের প্রেসিডেন্ট উমারো সিসোকো এমবালো এবং আফ্রিকান ইউনিয়ন কমিশনের চেয়ারপার্সন মুসা ফাকি মাহামাত। প্রেসিডেন্ট বাজুম এও বলেছেন, সালের সিদ্ধান্তে উত্তেজনা কমবে।
তবে সালের এই সিদ্ধান্তের ফলে এবার নতুন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী খোঁজার কাজ শুরু হবে। সালের দলের সদর দফতরে তাঁর সিদ্ধান্তে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেল। কেউ কেউ এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন, আবার কেউ কেউ কান্নাকাটি করেছেন। চোখে জল নিয়েই এক দলীয় মহিলা কর্মী বলেন, “এটা তাঁর সিদ্ধান্ত, তিনি আমাদের নেতা। আমরা এই সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছি, এবং তিনি যাঁকে প্রার্থী করবেন তাঁকে সমর্থন করব।”
প্রসঙ্গত, ধর্ষণের অভিযোগে বিরোধী দলের জনপ্রিয় নেতা উসমান সোঙ্কোর দুই বছর কারাবাস হয়েছিল। কিন্তু অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি এবং এও বলেন, তাঁকে প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচন থেকে সরাতেই এই সাজানো কেস। তাঁর এই মন্তব্যের পরে শান্ত সেনেগালে অশান্তি ছড়িয়ে পড়ে। বিরোধী দলের সমর্থকরা দাঙ্গা বাঁধাতে শুরু করে, গাড়ি ও ভবনে আগুন লাগিয়ে দেয়।