কলকাতা: ধর্ম যার যার, উৎসব সবার৷ এটা ভারত কিংবা বাংলাদেশ, সব দেশের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য৷ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও এ কথা বলতে শোনা যায়৷ বাংলাদেশের ধর্মীয় হিংসা প্রসঙ্গেও তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপত্র ‘জাগো বাংলা’তেও শান্তির পক্ষে সওয়াল করা হয়েছে৷ সে দেশে শান্তি ফেরাতে বাংলাদেশের পুলিশ-প্রশাসনকেও কঠোর হাতে পদক্ষেপের আহ্বান জানানো হয়েছে৷ ঘটনার বিষয়ে সঠিকটা না জেনে সামাজিক মাধ্যমে মিথ্য-উগ্র মন্তব্য,মতামত প্রকাশ থেকে বিরত থাকার আবেদনও জানানো হয়েছে৷
জাগো বাংলার সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে শান্তি থাকুক৷ বাংলাদেশে পুজোর সময়ে কিছু বাধা, বিঘ্ন ও অশান্তির অভিযোগ আসছে। এটা একেবারেই বাঞ্ছনীয় নয়। ঘটনাক্রমের যথাযথ তদন্ত হোক। বাংলাদেশ সরকার ও প্রশাসন যথাযথ ব্যবস্থা নিক। যদিও তাঁরা সক্রিয় হচ্ছেন বলেই খবর। ভারত সরকার অবিলম্বে কথা বলুন। আমরা ভারতে ঐক্য, সম্প্রীতির পক্ষে। আমরা সংখ্যালঘুদের সুরক্ষার পক্ষে। সেটা বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। সেখানেও সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা যথাযথ থাকুক। নাগরিকদের কাছে অনুরোধ, এসব নিয়ে উগ্র পক্ষপাতদুষ্ট মন্তব্য ছড়াবেন না। শান্তির লক্ষ্যে যা যা করার করা হোক।
আরও পড়ুন-পাঁচ রাজ্যে ভোটের আগে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে জনজাগরণ অভিযানে নামবে কংগ্রেস
আবার এটাও দেখা দরকার কোনও পক্ষের কোনও কাজে যেন অনিচ্ছাকৃত প্ররোচনাও না থাকে। কারওর ভাবাবেগে আঘাত দেওয়াটা ঠিক নয়। আমরা দায়িত্বশীলভাবে সমাধান চাই। বাংলাদেশ থেকে অভিযোগ আসতে থাকলে আমাদেরও খারাপ লাগা স্বাভাবিক। ফলে এইসব অভিযোগ যাতে না ওঠে এবং এর সুযোগ নিয়ে যাতে কোনও মেকি ধর্মের রাজনীতির ব্যাপারিরা বিভেদের বিষ ছড়াতে না পারে, তাও আমাদের নজর রাখতে হবে। বাংলাদেশ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় যা চলছে, অধিকাংশই না জেনে স্রেফ একপেশে মন্তব্য করছেন, এসব যত তাড়াতাড়ি থামে, সবার মঙ্গল। আশা করি হাসিনা সরকার বিষয়টি যথাযথভাবে দেখছেন।