ওয়েবডেস্ক: ইস্টার (Easter) উপলক্ষে ৩০ ঘণ্টা যুদ্ধবিরতির (ceasefire) ঘোষণা করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Putin)। মস্কোর সময় অনুযায়ী শনিবার সন্ধ্যা ৬ টা থেকে সোমবার মধ্যরাত রাত পর্যন্ত এই যুদ্ধ কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের পূর্বাঞ্চলীয় সময় অনুযায়ী, এই সময় শুরু হয়েছে শনিবার সকাল ১১টায়, আর শেষ হবে রবিবার বিকেল ৫টায়।
তবে পুতিনের এই ঘোষণাকে সন্দেহের চোখেই দেখছে কিয়েভ (Kyiv)। কারণ যুদ্ধ একটি গুরুত্বপূর্ণ দিকেও মোড় নিয়েছে, কারণ ইতিমধ্যেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষণা মত শান্তি চুক্তিতে কোনও অগ্রগতি না হলে, আর এই বিষয়ে থাকবে না তারা। সপ্তাহ বা মাস ধরে তারা এই আলোচনা চালিয়ে যাবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
এদিকে পুতিনের এই যুদ্ধবিরতির কয়েক ঘণ্টার পরেই ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা জানান, রাশিয়ান বাহিনী যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। তারা প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেই ফেলেছে। তিন বছরের সংঘাতের অবসানে যেকোনও বিরতি একটি অগ্রগতির ইঙ্গিত দেবে এমন বিশ্বাস খুব কমই ছিল।
আরও পড়ুন: রাশিয়া-ইউক্রেন যু *দ্ধ নিয়ে বিরাট বক্তব্য ট্রাম্পের
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি (Ukrainian President Volodymyr Zelensky) শনিবার রাতে এক ভাষণে বলেন, ফ্রন্টলাইনে রাশিয়ান হামলা অব্যাহত রয়েছে, গোলাবারুদও চলছে। জেলেনস্কি আরও জানান,, ইউক্রেন এই যুদ্ধবিরতির ঘোষণাকে সন্দেহের চোখে দেখছে। কারণ পুতিন এখনও যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে প্রস্তাবিত ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে সম্মতি দেননি। সেইসঙ্গে জেলেনেস্কির বক্তব্য, রাশিয়া চুপ থাকলে ইউক্রেনও চুপ থাকবে। কিন্তু হামলা হলে আত্মরক্ষায় পাল্টা প্রতিঘাত করবে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ইস্টার উপলক্ষে ঘোষিত স্বল্প সময়ের যুদ্ধবিরতি ৩০ দিনে বাড়ানোর আহ্বান জানান। তার বক্তব্য, এতেই রাশিয়ার আসল উদ্দেশ কি, সে বোঝা যাবে। প্রকৃত ভরসা করার জন্য ৩০ দিন শান্তির সুযোগ দিতে হবে।
ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রেই সিবিহা এক্স-এ লেখেন, এটা খুব দুঃখজনকভাবে, পুতিনের কথা আর কাজের মধ্যে কোনও মিল নেই। রাশিয়া যেকোনো সময় থেকেই মার্চ মাস থেকে টেবিলে থাকা সম্পূর্ণ ও নিঃশর্ত ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব গ্রহণ করতে পারে।”
যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর পুতিন মস্কোর ‘ক্রাইস্ট দ্য সেভিয়ার’ ক্যাথেড্রালে একটি অর্থোডক্স ইস্টার সেবায় অংশ নেন। তার সঙ্গে ছিলেন মস্কোর মেয়র সের্গেই সোব্যানিন এবং অন্যান্য উপাসনার্থীরা, জানিয়েছে রয়টার্স। সেখানে পুতিনকে একটি জ্বালানো লাল মোমবাতি হাতে দেখা যায়। তিনি নিজের মাথায় ক্রস চিহ্ন আঁকেন। এই সেবা পরিচালনা করেন প্যাট্রিয়ার্ক কিরিল। তিনি রাশিয়ার অর্থোডক্স চার্চের প্রধান ও পুতিনের ঘনিষ্ঠ সমর্থক। তিনিও ইউক্রেনে যুদ্ধের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।
দেখুন অন্য খবর-