ওয়েব ডেস্ক: পশ্চিম এশিয়ার পর এবার অশান্তির আগুনে জ্বলছে আফ্রিকা (Africa)। সরকারবিরোধী আন্দোলনে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি কেনিয়ায় (Kenya Unrest)। সেদেশের প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটোর (William Ruto) সরকারের বিরুদ্ধে চরমে জনরোষ (Public Outrage)। তার জেরেই রাজধানী নাইরোবি-সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে প্রতিবাদে (Protest) সামিল হয়েছেন। পুলিশ কাঁদানে গ্যাস, জলকামান, এমনকি গুলি চালিয়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করলেও আন্দোলন থামেনি।
কেনিয়ার সরকারি সূত্র থেকে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে তাতে করে, সোমবার পুলিশের গুলিতে কমপক্ষে ১১ জন বিক্ষোভকারী প্রাণ হারিয়েছেন। আহতের সংখ্যাটা বহু। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, সংঘর্ষে ৫২ জন পুলিশকর্মীও আহত হয়েছেন। এখন প্রশ্ন হচ্ছে যে, কী নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে এভাবে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করছেন কেনিয়াবাসী? কীসের দাবিতে পুলিশের গুলিতে প্রাণ দিলেন ১১ জন? কেনিয়ার অস্থিরতার কারণটা একবার জেনে নেওয়া যাক।
আরও পড়ুন: অথৈ জলে ভাসছে টেক্সাস! প্রকৃতির বলির সংখ্যা বেড়ে ১০৪
জানা গিয়েছে, প্রতি বছর ৭ জুলাই দিনটি কেনিয়ার বুকে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন হিসেবে পালিত হয়। ১৯৯০ সালে তৎকালীন স্বৈরশাসক প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল আরাপ মোইয়ের বিরুদ্ধে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার দাবিতে শুরু হয়েছিল ব্যাপক আন্দোলন। সেই ঐতিহাসিক গণআন্দোলনের স্মরণে এই দিনটিতে প্রতিবছর দেশজুড়ে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এবছর সেই সমাবেশ থেকেই প্রেসিডেন্ট রুটোর পদত্যাগের দাবিতে নতুন করে আন্দোলন দানা বাঁধে।
এবারের বিক্ষোভের কেন্দ্রবিন্দু ছিল রাজধানী নাইরোবি। সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে দিতে বিক্ষোভকারীরা শহরের কেন্দ্রস্থলে পৌঁছনোর চেষ্টা করলে পুলিশ বেশ কয়েকটি প্রধান রাস্তা বন্ধ করে দেয়। তাতেও ক্ষোভ আরও বাড়ে। পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের মধ্যে বেঁধে যায় খণ্ডযুদ্ধ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে জলকামান ও টিয়ার গ্যাস ব্যবহার করে পুলিশ। পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে গেলে পুলিশ গুলি চালায়, তাতেই প্রাণ যায় অন্তত ১১ জনের।
দেখুন আরও খবর: