ওয়েব ডেস্ক: অশান্ত শাহবাজ শরীফের দেশ পাকিস্তান (Pakistan)। পৃথক সিন্ধুদেশের (Sindhudesh) দাবিতে উত্তাল করাচি (karachi)। স্লোগান উঠল ‘আজাদি’ ও ‘পাকিস্তান মুর্দাবাদ’। রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখালেন হাজার হাজার বিক্ষোভকারী। যার জেরে উত্তাল হয়ে উঠল করাচি। পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে পাথরবৃষ্টি করে আন্দোলনকারীরা, চালানো হয় ভাঙচুরও। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেখানো নামানো হয় সেনা। তখনই দুই পক্ষের সংঘর্ষ শুরু হয়।
গত ৭ ডিসেম্বর, রবিবার ছিল সিন্ধ সাংস্কৃতিক দিবস। সেই উপলক্ষে বহু মানুষ পথে নামেন। ‘জিয়ে সিন্ধ মুত্তাহিদা মাহাজ’ নামের এক সিন্ধ জাতীয়তাবাদী সংগঠন ছিল মিছিলের নেতৃত্বে। কিন্তু উদযাপন দ্রুত বদলে যায় আন্দোলনে। স্বাধীন সিন্ধুদেশের দাবিতে সোচ্চার হলেন আন্দোলনকারীরা। করাচির জনবহুল রাস্তায় পাক সরকার ও প্রশাসনের মুণ্ডুপাত করা হয়। পাকিস্তান মুর্দাবাদ শ্লোগান দেওয়া হয়। শেহবাজ শরিফের পদত্যাগের দাবিও ওঠে। তারপরই বিক্ষুব্ধদের উপর লাঠিচার্জ করে পুলিশ ও সেনা জওয়ানরা। পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তোলে হাজার হাজার প্রতিবাদী। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে আন্দোলন প্রতিরোধে কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটাতে শুরু করে পুলিশ।
দুই পক্ষের সংঘর্ষের জেরে জখম হন একাধিক জন। সূত্রের খবর, সহিংসতায় জড়িত থাকার অভিযোগে কমপক্ষে ৪৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডনের প্রতিবেদন অনুসারে, পাঁচজন পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন। তারপরই সরকারের তরফে পুলিশকে সম্পত্তির ক্ষতি এবং যানবাহন ভাঙচুরে জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছে।
আরও পড়ুন: পুতিনের পর এবার ভারতে আসছেন ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি
প্রসঙ্গত, ১৯৬৭ সালে প্রথমবার স্বাধীন সিন্ধুদেশের দাবি উঠেছিল। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের সৃষ্টি হলে সেই দাবি আরও জোরালো হয়ে ওঠে। ১৯৭২ সালে সিন্ধি নেতা জিএম সাইদ স্থানীয় কয়েকটি সিন্ধি রাজনৈতিক পার্টিকে একত্রিত করে নতুন করে সিন্ধু অঞ্চলের নাম সিন্ধুদেশ প্রস্তাব করেন। সেই দাবি সিন্ধু ভাষাভাষী মানুষের মধ্যে আলোড়ন তোলে।
অন্য খবর দেখুন