ওয়েব ডেস্ক: সোশ্যাল মিডিয়ায় বন্ধুত্ব পাতিয়ে একসাথে আত্মহত্যা করার টোপ। তাতে পা দিয়ে একের পর এক তরুণীর মৃত্যু। ২০১৭ সালে যে ‘সিরিয়াল কিলার’কে (Serial Killer) ঘিরে জাপানে (Japan) আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে, তাতে ফাঁসির দড়িতে ঝোলানোর নির্দেশ দিল আদালত। লাগাতার নয় জনকে খুনের আট বছর পর মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত জাপানের ‘টুইটার কিলার’ (Twitter Killer) তাকাহিরো শিরাইশি (Takahiro Shiraishi)। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, ২০২২ সালের পর ফের কোনও অপরাধীকে ফাঁসির সাজা (Death Sentence) শোনানো হল এই দেশে।
২০১৭ সালে শুরু হয় ‘টুইটার কিলার’-এর মৃত্যু-খেলা। নৃশংসভাবে ৯ জনকে খুন করে তাকাহিরো শিরাইশি নামের এই অপরাধী। জানা যায়, সোশ্যাল মিডিয়ায় আত্মহত্যার ইচ্ছাপ্রকাশকারী মানসিক অবসাদগ্রস্ত মানুষদের খুঁজে বের করত সে। তারপর তাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব জমিয়ে আত্মহত্যার প্রস্তাব দিত তাকাহিরো। এইভাবে মানসিকভাবে দুর্বল মানুষদের হত্যা করত এই জাপানি সিরিয়াল কিলার। মৃতদের অধিকাংশের বয়স ছিল ১৫ থেকে ২৬-এর মধ্যে। নিহত ৯ জনের মধ্যে ৮ জনই ছিলেন মহিলা।
আরও পড়ুন: ট্রাম্পকে ‘ড্যাডি’ বলে ডাকলেন NATO প্রধান, কেন জানেন?
ঘটনার পর গ্রেফতার হয় তাকাহিরো। আদালতে তার আইনজীবীরা দাবি করেছিলেন, যেহেতু মৃতরা নিজেরাই আত্মহত্যার কথা প্রকাশ করেছিলেন, তাই তাকে খুনের অপরাধে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া উচিত নয়। কারণ এই হত্যাকাণ্ডগুলিতে ‘আত্মহত্যায় সম্মতি’র ছাপ ছিল। তবে বিচারপতি স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে, সম্মতি থাকলেও কেউই তাকে হত্যার অনুমতি দেয়নি। সেই যুক্তি খারিজ করে বিচারপতি জানান, এটি ছিল ঠান্ডা মাথায় পরিকল্পিত ও নৃশংস হত্যাকাণ্ড। বিচারপতির দাবি, “এই সমস্ত অপরাধ ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধির জন্য সমাজে আতঙ্ক ও অস্থিরতা তৈরি করেছে।”
উল্লেখ্য, জাপানে ২০২২ সালের জুলাই মাসে শেষবার কোনও অপরাধীর ফাঁসি হয়েছিল। সেই ঘটনার পরে এবারই প্রথম আবার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হল। ‘টুইটার কিলার’-এর ফাঁসির মাধ্যমে এক নির্মম অধ্যায়ের সমাপ্তি হলেও একটা আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে, আজকালকার ডিজিটাল যুগে এরকম অপরাধ তো হামেশাই ঘটতে পারে।
দেখুন আরও খবর: