ওয়েব ডেস্ক: কবে হবে বাংলাদেশে নির্বাচন (Bangladesh Election)? এই একটা প্রশ্নে এখন উত্তাল বাংলাদেশ। গত বছর জানুয়ারি মাসে নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছিল শেখ হাসিনার (Shekh Hasina) সরকার। কিন্তু জুলাই মাসে ছাত্র বিক্ষোভকে (Student Agitation) কেন্দ্র করে ৫ অগাস্ট পতন ঘটে হাসিনা সরকারের। সেসময় জঙ্গি আন্দোলনের জেরে বাংলাদেশে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল কট্টরপন্থী জামায়াতে ইসলামি ও তার ছাত্র সংগঠনকে। সন্ত্রাসবাদে যুক্ত জামায়াত। এই অভিযোগ উঠেছিল। তারপর থেকে বাংলাদেশে চলছে মনোনীত মহম্মদ ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকার। ইউনুস সরকার জামায়াতের উপর থেকে ওই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়। এবার কট্টরপন্থী জামায়াতে ইসলামের জন্য আরও নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হল বাংলাদেশে। নির্বাচনে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে জামায়াতের উপর যে নিষেধাজ্ঞা ছিল বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের রায়ে তা উঠে গেল। বাংলাদেশে এবছরের মধ্যে নির্বাচন করানোর দাবিতে সরব বিএনপি। সেনা প্রধান ওয়াকার উজ জামানও দ্রুত নির্বাচন করানোর দাবিতে চাপ বাড়িয়েছেন। আওয়ামি লিগ প্রথম থেকেই দ্রুত নির্বাচনের পক্ষে। তারই মধ্যে জামায়াতের জন্য এই দরজা খুলে দেওয়া হল।
হাসিনা পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় জুলাইয়ের ছাত্র বিক্ষোভে পাকিস্তানের আইএসআইয়ের হাত থাকার অভিযোগ তুলেছিলেন। ছাত্র বিক্ষোভে সক্রিয় ছিল জামায়াতের ছাত্র সংগঠন ইসলামি ছাত্র শিবির। জামায়াতের সঙ্গে পাকিস্তানের যোগসূত্রের অভিযোগ রয়েছে। গত বছর ১ অগাস্ট দলটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: জো বাইডেনের ক্লোন ছিলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট? বিস্ফোরক দাবি ট্রাম্পের
রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতের স্বীকৃতি বাতিল করে হাইকোর্টের রায় ছিল। রবিবার সেটি খারিজ করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বিভাগ এই রায় দিয়েছেন।
দেখুন অন্য খবর: