ওয়েব ডেস্ক: গাজার ( Gaza ) স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, ইজরায়েলের ( Israel ) ভয়াবহ বিমান হামলায় খান ইউনিসের হাসপাতালে আগুন লেগে গেছে, আহত হয়েছেন বহু মানুষ। রবিবার রাতে দক্ষিণ গাজার বৃহত্তম চিকিৎসা কেন্দ্র খান ইউনিসের হাসপাতালে ভয়ঙ্কর আক্রমণ চালিয়েছে ইজরায়েলি সেনা। এতে অন্তত পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে, যার মধ্যে প্যালেস্তাইনি গোষ্ঠী হামাসের এক শীর্ষ নেতা রয়েছেন বলে দাবি করা হচ্ছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, হামলায় সার্জিক্যাল ভবনে বড় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। হামাসও এই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে। স্থানীয় সংবাদ সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, হামলায় নিহতদের মধ্যে হামাসের পলিটব্যুরো সদস্য ইসমাইল বারহুমও ছিলেন। ইজরায়েলি সামরিক বাহিনী হামলার কথা স্বীকার করে জানিয়েছে, তাদের টার্গেট ছিল হাসপাতাল থেকে পরিচালিত হামাস জঙ্গিরা। তবে হামাসের দাবি, বারহুম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিশ্বের কোন দেশে কী বিপদ, বিস্ফোরক রিপোর্ট আমেরিকার!
গত সপ্তাহে যুদ্ধবিরতি ভেঙে গাজায় হামলা শুরু করেছে ইজরায়েল। নাসের হাসপাতাল জুড়ে পড়ে রয়েছে মৃতদেহ, আহতদের আর্তনাদে কাঁপছে হাসপাতাল চত্বর। আকস্মিক বিমান হামলায় শত শত মানুষ নিহত হয়েছেন বলে খবর। অন্যান্য চিকিৎসাকেন্দ্রের মতো নাসের হাসপাতালও ইজরায়েলি হামলায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, সংঘাতে এখন পর্যন্ত ৫০,০০০-এরও বেশি প্যালেস্তাইনি নিহত হয়েছেন। শনিবার রাতের ইজরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ২৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন। ইজরায়েলি বাহিনী হামাসকে দায়ী করে বলেছে, তারা ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা থেকে ইচ্ছাকৃতভাবে হামলা চালাচ্ছে।
সূত্রের খবর, গত সপ্তাহ থেকে ইজরায়েল ডজনখানেক হামাস জঙ্গিকে ‘নির্মূল’ করেছে। যা ১৭ মাস ধরে চলা যুদ্ধের সবচেয়ে প্রাণঘাতী সময়গুলির মধ্যে অন্যতম। রবিবার, হামাস ঘোষণা করেছে যে তাদের অন্যতম নেতা সালাহ বারদাউইলও মুওয়াসিতে ইজরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন। হামলায় তাঁর স্ত্রীও প্রাণ হারিয়েছেন।
যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার পর থেকে গাজায় লাগাতার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইজরায়েল। জানুয়ারিতে যুদ্ধবিরতি শুরু হলেও তা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। বেশিরভাগ বন্দি মুক্তি পেলেও নতুন করে শুরু হয়েছে প্রাণঘাতী সংঘর্ষ।
দেখুন আরও খবর: