ওয়েব ডেস্ক: ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে ১৩ দিনের সংঘাত চলাকালে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিকে (Ali Khamenei) হত্যা করতে চেয়েছিল ইজরায়েল। বৃহস্পতিবার বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন ইজরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ। ইসরায়েলের সংবাদমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কাৎজ বলেন, ‘আমরা খামেনিকে সরিয়ে দিতে চেয়েছিলাম, কিন্তু সেটা করার যথাযথ সুযোগ পাওয়া যায়নি।’তিনি আরও দাবি করেন, এই হত্যাচেষ্টার বিষয়টি খামেনি আগেই আঁচ করতে পেরে আত্মগোপনে ছিলেন। এবং ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) কমান্ডারদের ,নতুন নেতাদের সঙ্গেও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
কাৎজের দাবি, খামেনি তাঁর ওপর হামলা হতে পারে বলে আশঙ্কা করছিলেন। আর সে কারণে তিনি ভূগর্ভের অনেক গভীরে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গিয়েছিলেন। প্রথম দফায় ইরানের প্রভাবশালী ইসলামি বিপ্লবী গার্ড কোরের নেতাদের জায়গায় নিয়োগ পাওয়া সেনা কমান্ডারদের সঙ্গেও যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছিলেন তিনি। তবে যুদ্ধের সময় খামেনি কয়েকটি ভিডিও বার্তা দিয়েছেন। তিনি তাঁর জেনারেলদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেননি বলে যে দাবি করা হয়েছে, তা নিশ্চিত হওয়ার মতো কোও প্রমাণ পায়নি। খামেনিকে হত্যা করলে সংঘাত ভয়াবহভাবে বাড়ত। কারণ, তিনি শুধু ইরানের সর্বোচ্চ নেতা নন, বিশ্বের কোটি কোটি শিয়া মুসলমানের কাছে তিনি এক শীর্ষ ধর্মীয় কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: ভারতের সঙ্গে ‘বাণিজ্য চুক্তি’ নিয়ে বিরাট ঘোষণা ট্রাম্পের
ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু (Benjamin Netanyahu) ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিভিন্ন সময় বলেছিলেন, এই যুদ্ধ ইরানে সরকার পরিবর্তনের পথ তৈরি করতে পারে। গত রবিবার সামাজিক মাধ্যমে ট্রাম্প মন্তব্য করেন, এই যুদ্ধ ‘মেক ইরান গ্রেট এগেইন’ ঘটাতে পারে। এদিকে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর যুক্তরাষ্ট্রের বোমা হামলায় ঠিক কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। মূলত ফর্দো, নাতাঞ্জ ও ইসফাহান—এই তিন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় হামলা চালানো হয়। তবে গতকাল আয়াতুল্লাহ খামেনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র হামলার ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে বাড়িয়ে বলছে। বিশেষ কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। মলত কয়েক মাস কাজ বন্ধ থাকবে।
দেখুন ভিডিও