ওয়েব ডেস্ক: ক্রমশ ভয়াবহ হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের (Middle East) যুদ্ধ পরিস্থিতি। ইজরায়েলের (Israel) ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’-এর (Operation Rising Lion) জবাবে চলছে ইরানের (Iran) ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস’ (Operation True Promise)। ক্ষেপণাস্ত্রের জবাব দেওয়া হচ্ছে ক্ষেপণাস্ত্রের মাধ্যমে। তার জেরেই এবার দুই দেশেই দেখা যাচ্ছে মৃত্যুমিছিল। তেল আভিভ থেকে তেহরান- সর্বত্রই একই ববস্থা। ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে আসছে ব্যালিস্টিক মিসাইল, আছড়ে পড়ছে সেনাছাউনি থেকে জনবসতিপূর্ণ বহুতলে। এককথায় ফের বারুদের গন্ধে আতঙ্ক বাড়ছে মধ্যপ্রাচ্যে।
সূত্রের খবর, শনিবার রাত থেকে রবিবার ভোর পর্যন্ত ইজরায়েলের বিভিন্ন এলাকাকে লক্ষ্য করা টানা ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে ইরান। মূলত জেরুজালেম এবং তেল আভিভকে টার্গেট করেই মিসাইল হামলা চালানো হয় ইরানি সেনার তরফে। জানা গিয়েছে, অনেক ইরানি মিসাইল প্রতিহত করতে পারেনি ইজরায়েলের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। সেই কারণে উত্তর ইজরায়েলের একটি বাড়িতে মিসাইলের আঘাতে তিন মহিলার মৃত্যু হয়েছে। সেখানে অন্তত ৩৬ জন আহত হয়েছেন। পাশাপাশি এখনও অনেকেই ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও আটকে থাকতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: দেশ ছাড়ছেন নেতানিয়াহু?
অন্যদিকে, ইজরায়েলও পাল্টা ইরানের উপর হামলা চালায়। রাজধানী তেহরানের শাহরান এলাকার তৈল ভান্ডার ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের একটি ভবনকে টার্গেট করে নেতানিয়াহুর সেনা। ইরানের রাতের আকাশ ঢেকে যায় কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলিতে। ইরানের সরকারি সূত্রে জানানো হয়েছে, ক্ষয়ক্ষতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও হতাহতের সংখ্যা স্পষ্ট নয়।
মূলত পরমাণু চুক্তি নিয়ে দীর্ঘদিনের টানাপোড়েনের জেরেই এই সংঘাত নতুন মাত্রা পেয়েছে। ইজরায়েলের আগাম হামলায় ইরানের চার উচ্চপদস্থ সেনাকর্তা ও নয়জন পরমাণু বিজ্ঞানী ইতিমধ্যে নিহত হয়েছেন। বিশ্লেষকদের মতে, পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে না আনলে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে আরও বড় রকমের যুদ্ধ শুরু হতে পারে।
দেখুন আরও খবর: