কাবুল: কাবুল বিমানবন্দরে বিস্ফোরণের ঘটনায় নাম না করে তালিবানকেই দায়ী করলেন আফগানিস্তানের স্বঘোষিত কার্যকরী রাষ্ট্রপতি আমরুল্লাহ সালেহ্। শুক্রবার সকালে টুইটে সালেহ্ দাবি করেন, ইসলামিক স্টেট-খোরাসানের বীজ লুকিয়ে রয়েছে তালিবান এবং হক্কানি নেটওয়ার্কেই। ইসলামিক স্টেট (আইএস)-এর কাছ থেকে তালিবান ভালো ট্রেনিং নিয়েছে বলে দাবি করেন সালেহ।
সালেহ্ টুইটে লেখেন, ‘এখনও পর্যন্ত যে যে প্রমাণ হাতে এসেছে, তার ভিত্তিতে বলাই যায় ইসলামিক স্টেট-খোরাসানের বীজ তালিবান এবং হক্কানি নেটওয়ার্কেই। তালিব যেভাবে আইএসআইএস-এ সঙ্গে নিজেদের যোগ অস্বীকার করছে, তা অনেকটা তাদের পাকিস্তান যোগ অস্বীকার করার মতো। তালিব নিজেদের গুরুর থেকে ভালো শিখেছে।’ গোটা আফগানিস্তানের দখলে নিলেও তালিবানরা পঞ্জশির প্রদেশ কব্জা করতে পারেনি। বর্তমানে সেখানেই রয়েছেন সালেহ্।
কাবুল বিমানবন্দরের দুটি গেটে পর পর দুটি বিস্ফোরণে ১২ জন মার্কিন সেনা ও ৬০ জন আফগানির মৃত্যুর খবর মিলেছে। বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সন্ধে সাড়ে ছ’টা নাগাদ বিস্ফোরণ ঘটে। প্রথম বিস্ফোরণটি হয় হামিদ কারজ়াই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ‘অ্যাবি গেটের’ সামনে। দ্বিতীয় বিস্ফোরণটি হয় বিমানবন্দরের লাগোয়া ব্যারন হোটেলের সামনে। তালিবান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ টুইটারে লিখেছেন, ‘আমেরিকান বাহিনীই বিস্ফোরণগুলি ঘটিয়েছে।’
কাবুল বিমানবন্দরে আত্মঘাতী বিস্ফোরণের ঘটনায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। তিনি কার্যত হুশিয়ারির সুরে বলেছেন, ‘হামলাকারীদের খুঁজে বের পাল্টা জবাব দেওয়া হবে।’ এখানেই থামেননি তিনি। আরও বলেন, “যারা এই হামলা চালিয়েছে এবং যারা আমেরিকার ক্ষতি চায়, তাদের আমরা ক্ষমা করব না। আমরা ভুলব না। জেনে রাখুন, আমরা আপনাকে খুঁজে বের করবই এবং পাল্টা জবাব দেব।”