ওয়েবডেস্ক: আমেরিকার (US) সঙ্গে ইরানের (Iran) উত্তেজনার সম্পর্কে বরফ গলবে? শনিবার ইরানের জাতীয় টিভিতে জানানো হয়েছে, পরমাণু কর্মসূচি (Nuclear Programme) নিয়ে আমেরিকার সঙ্গে তাদের কথা চলছে। ইরান জানিয়েছে, আমেরিকার মধ্যপ্রাচ্যের দূত স্টিভ উইটকফ ও তাদের বিদেশমন্ত্রী আব্বাস আরাগাছির মধ্যে কথা হয়েছে। ওমানের বিদেশমন্ত্রীর উপস্থিতিতে কথা হয়েছে। আগামী সপ্তাহে আমেরিকা ও ইরান এই বিষয়ে আরও মতবিনিময় করবে বলে তেহরান জানিয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরুর করার হুমকি দিয়েছিলেন। ট্রাম্প আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর এই প্রথম দুই দেশের মধ্যে কথা হল। তারপর তাতে কয়েক দশকের উত্তেজনার সম্পর্ক বদলানোর জল্পনা শুরু হয়েছে। ট্রাম্প চির প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ রাশিয়ার সঙ্গে বিদেশনীতিতে বদল এনেছেন। ফলে ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক নতুন খাতে বইলে তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই।
আমেরিকা ইরানকে হুঁশিয়ারি দিচ্ছে। গোপনে ইরান পরমাণু কর্মসূচি চালাচ্ছে। এই অভিযোগ ছিল আমেরিকার। পাল্টা ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতোল্লা খামেইনি হুঙ্কার দিচ্ছেন। এমনটাই দেখা যেত। এমনকী ইজরায়েলের সঙ্গে গাজায় হামাস বা লেবাননে হেজবুল্লাহর যুদ্ধেও আমেরিকা ইরানকে হুঁশিযয়ারি দিয়েছে। এদিন ইরানের ওই বার্তার পর মধ্যপ্রাচ্যে সমীকরণ কোন দিকে বইবে সেদিকে তাকিয়ে আন্তর্জাতিক মহল। আমেরিকার দূত স্টিভ উইটকফ ইতিমধ্যে রাশিয়ায় প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করেছেন। সেখানে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধে বিরতি নিয়ে আলোচনা হয় প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে। রাশিয়ার বন্ধু দেশ বলেই পরিচিত ইরান। ৭৫টি দেশের উপর চড়া শুল্ক চাপিয়ে আন্তর্জাতিক মহলের বিরাগভাজন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। পরে যদিও তা স্থগিত করেন। তবে ট্রাম্প নতুন কোনও সমীকরণের পথে হাঁটছেন বলে মনে করছে তথ্যাভিজ্ঞ মহল।
আরও পড়ুন: ট্রাম্পের পাল্টা শুল্ক থেকে ছাড় স্মার্টফোন, ল্যাপটপ
দেখুন অন্য খবর: