ওয়েব ডেস্ক: ইজরায়েলকে (Israel) যোগ্য জবাব দিতে তৈরি ছিল তেহরান। শুক্রবার সকাল থেকেই যেভাবে ইরানের (Iran) বিভিন্ন অঞ্চলে হামলা চালায় ইজরায়েল, তারই জবাবে মিসাইল ও ড্রোন নিক্ষেপ করে ইরান। শুক্রবার মাঝরাত থেকে ইরানেই সেই জবাবি হানায় কার্যত তছনছ হয়ে যায় ইজরায়েলের দুই প্রধান শহর—জেরুজালেম এবং তেল আভিভ। এরপরেই ইজরায়েলকে হুঁশিয়ারি দিলেন ইরানের সুপ্রিম নেতা আলি খামেনি (Ali Khamenei)।
শনিবার জাত্তির উদ্দেশ্যে দেওয়া এক ভাষণে খামেনি প্রথমেই এই যুদ্ধে ইরানের শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। তারপর তিনি বলেন, “মহান ইরান জাতির উদ্দেশে বলছি, ইজরায়েলিরা অশুভ ও রক্তাক্ত হাতে আমাদের প্রিয় দেশের বিরুদ্ধে অপরাধ করেছে এবং আবাসিক এলাকায় আঘাত করে তাদের বর্বর চরিত্রকে সামনে এনেছে।” এরপরেই হুঁশিয়ারির সুরে খামেনি বলেন, “ইজরায়েলের জন্য ভয়াবহ শাস্তি অপেক্ষা করছে। তাদের উচিত কড়া জবাবের অপেক্ষায় থাকা।”
আরও পড়ুন: ইরানের ৬৫ মিনিটের অ্যাটাক! ইজরায়েলের খেলা শেষ?
ইরানের বাসিন্দাদের উদ্দেশে ভাষণে খামেনি আরও বলেন, “এই হামলায় বেশ কয়েকজন কমান্ডার ও বিজ্ঞানী নিহত হয়েছেন। তবে তাঁদের উত্তরসূরিরা অবিলম্বে তাঁদের রেখে যাওয়া অসমাপ্ত কাজগুলোকে সামনে এগিয়ে নিতে দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন।” এরপর ফের তিনি হুমকির সুরে ইজরায়েলকে বলেন, “নিশ্চিতভাবে ওদেরকে শাস্তি দেওয়া হবে।”
উল্লেখ্য, ইজরায়েলের ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ শুরুর মাত্র ১২ ঘণ্টার ব্যবধানে পাল্টা জবাবে আকাশপথে আগুনের গোলা বর্ষিয়ে ইজরায়েলকে কাঁপিয়ে দেয় তেহরান। ইরানের তরফে মাত্র ৬৫ মিনিটে ছোড়া হয় প্রায় ৩০০টি ব্যালিস্টিক মিসাইল। তেল আভিভ ও জেরুজালেমের মতো শহরগুলিতে বিস্ফোরণে বহু মানুষ আহত হয়েছেন বলে প্রাথমিক রিপোর্ট।
দেখুন আরও খবর: