ওয়েব ডেস্ক: শুক্রবার ইরানের (Iran) উপর হামলা শুরু করে ইজরায়েল (Israel)। পাল্টা জবাবে ইরানি সেনাও ছুঁড়েছে ঝাঁকে ঝঁকে মিসাইল। এর জেরে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে মধ্যপ্রাচ্যে। তবে যে বিষয়টি নিয়ে এই যুদ্ধের সূত্রপাত, তা ফের অমীমাংসিতই রয়ে গেল। আমেরিকার (USA) সঙ্গে পরমাণু বৈঠকে বসতে নাকচ করল ইরান। রবিবার এই দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। তবে শনিবারই ইরান জানিয়ে দিয়েছে যে, তারা আমেরিকার সঙ্গে এই বিষয়টি নিয়ে এই মূহুর্তে আলোচনা করতে রাজি নয়।
২০১৫ সালে হওয়া আমেরিকা-ইরান পরমাণু চুক্তি (Nuclear Deal) হয়েছিল। তবে ২০১৮ সালে একাধিক কূটনৈতিক কারণে আমেরিকা এই চুক্তি থেকে সরে যায়। তবে ফের এই চুক্তি কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। সেই লক্ষ্যে দুই দেশের তরফে একাধিকবার এক টেবিলে বসার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে আলোচনা কোনওবারেই ফলপ্রসূ হয়নি। রবিবার ফের এই বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। তবে ইরান এবার আলোচনায় বসতে নারাজ। তাদের দাবি, বর্তমানে এই বৈঠকে কোনও ভিত্তি নেই।
আরও পড়ুন: রাতভর মিসাইল হামলা, তছনছ তেহরান, তেল আভিভ! এখন কী অবস্থা?
অন্যদিকে, ইজরায়েলের রক্তচক্ষু দেখে মোটেও দমে যায়নি ইরান। নেতানিয়াহুকে মিসাইলের জবাব মিসাইলের মাধ্যমে দিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম শক্তিধর এই দেশ। সেই সঙ্গে ইরানের তরফে এসেছে পাল্টা হুঁশিয়ারিও। শনিবার খামেনির দেশের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স ইজরায়েলকে এই বিষয়ে সাহায্য করলে তাদের সামরিক ঘাঁটিতেও হামলা চালানো হবে।
এদিকে আবার ইরানের এই হুঁশিয়ারির পাল্টা জবাব দিয়েছে আমেরিকাও। খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ইরান যদি কোনওভাবে আমেরিকার উপর হামলা চালায়, তাহলে তাদের তছনছ করে দেওয়া হবে। এমনকি আগে হয়নি, এমন প্রত্যাঘাতের হুমকিও এসেছে আমেরিকার তরফে। পাশাপাশি ইজরায়েল এবং ইরানের মাঝে মধ্যস্থতার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে আমেরিকার তরফে।
দেখুন আরও খবর: