ওয়েব ডেস্ক: আজ নিয়ে ১২ দিনে পড়ল ইজরায়েল-ইরান যুদ্ধ (Israel-Iran War)। তবে মধ্যপ্রাচ্যের এই সংঘাত আজ শুধুমাত্র ইজরায়েল বা ইরানের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। দু’দিন আগেই এই যুদ্ধে হস্তক্ষেপ করেছে আমেরিকা (USA)। বোমারু বিমান হামলা চালিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়েছে ইরানের একাধিক পরমাণু ঘাঁটি। ইরানের উপর আমেরিকার এই আগ্রাসন নিয়ে ইতিমধ্যে সমালোচিত হয়েছে ট্রাম্প (Donald Trump) প্রশাসন। চীন থেকে রাশিয়া, একাধিক দেশ ইরানের পাশে দাঁড়িয়েছে। আমেরিকার অন্দরেও সমালোচিত হয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
এই অবস্থায় সোমবার রাতে ট্রুথ সোশ্যালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেন, ইজরায়েল ও ইরান ‘সম্পূর্ণ ও পূর্ণাঙ্গ’ যুদ্ধবিরতিতে (Ceasefire) সম্মত হয়েছে। একটি পোস্টে তিনি লিখেছেন, “যুদ্ধবিরতির সময়, দুই দেশই একে অন্যের প্রতি শান্তিপূর্ণ এবং শ্রদ্ধাশীল থাকবে। এই ধারণার উপর ভিত্তি করে যে সবকিছু যেমনটি করা উচিত তেমনভাবে কাজ করবে, যা তা করবে। আমি উভয় দেশ, ইজরায়েল এবং ইরানকে অভিনন্দন জানাতে চাই। কারণ তাদের ‘১২ দিনের যুদ্ধ’ নামক সহনশীলতা, সাহস এবং বুদ্ধিমত্তার অবসান ঘটেছে।”
আরও পড়ুন: ইরান-রাশিয়া বৈঠক! ইরানের পাল্টা হামলা, ভয়ে পিছোলেন ট্রাম্প?
কিন্তু ট্রাম্পের এই স্বঘোষিত এই যুদ্ধবিরতির দাবি প্রথমে অস্বীকার করে ইরান সরকার। ইরানের বিদেশমন্ত্রী সৈয়দ আব্বাস আরাঘচি দাবি করেন, “এখনও যুদ্ধবিরতি নিয়ে কোনও সমঝোতাই হয়নি।” তারপরই ইজরায়েলে হামলা শুরু করে ইরানি সেনা। মঙ্গলবার তেল আভিভে একাধিক মিসাইল হামলা চালানো হয় ইরানের তরফে যাতে ছয় জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। যদিও তারপর ইরান জানায় যে এবার যুদ্ধবিরতি কার্যকর হল।
কিন্তু ইরানের এই হামলার জবাব দিয়েছে ইজরায়েল। জানা গিয়েছে, তেহরান লক্ষ্য করে একাধিক মিসাইল ছঁড়েছে ইজরায়েল। অর্থাৎ, আজও যুদ্ধ চলছে মধ্যপ্রাচ্যে? এখন একটাই প্রশ্ন, ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতির কী হবে?
দেখুন আরও খবর: